এলেন, দেখলেন, চলে গেলেন! সৌরভ ছড়াতে এসে পাপড়ি মেলার সুযোগই পেলেন না মমিনুল হক। বাঁহাতি এই ব্যাটারের বোল্ড হওয়ার ধরন ঠিক আগের বলটিতে আউট হওয়া জাকির হাসানের কার্বন কপি বললে ভুল হবে না। ডানহাতি পেসার আকাশ দীপের রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে করা অ্যাঙ্গেল ডেলিভারি পড়তেই পারলেন না জাকির-মমিনুল।
ব্যাট ও প্যাডের ফাঁক গলে দুজনই বোল্ড! তাঁর আগে ইনিংসের প্রথম ওভারে ফেরেন সাদমান ইসলাম।
দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা তাসকিন আহমেদ ওপরের দিকের ব্যাটারদের কাঠগড়ায় তুললেন, ‘নতুন বলে একটু ভালো খেললে এত উইকেট যেত না। মিডল অর্ডারের জন্য নতুন বল চ্যালেঞ্জিং।
ব্যাটারদের দৈন্যদশা দ্বিতীয় দিন শেষে পেছনে ঠেলে দিয়েছে বাংলাদেশকে। বোলারদের কল্যাণে ভারতকে প্রথম ইনিংসে ৩৭৬ রানে থামিয়ে দেয় সফরকারীরা। তবে নিজেরা ১৫০ রানের গণ্ডিও টপকাতে পারেনি।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে যে ১৪৯ রান তুলেছে, তার মধ্যে ৫৭ রানই এসেছে শেষ ৩ উইকেট জুটিতে। যে তিন পেসারের কাছে ব্যাটিংয়ে খুব বেশি প্রত্যাশা থাকে না, আজ তাঁরা এনে দেন মূল্যবান ৩১ রান। সব মিলিয়ে এই তিনজন খেলেছেন ৫৪টি বল। অথচ দুই ওপেনারসহ আউট হওয়া প্রথম তিন ব্যাটার মিলে খেলেন ২৯ বল। তাসকিন তাই ঘুরেফিরেই দায় চাপালেন শুরুর দিকের ব্যাটারদের কাঁধে, ‘এই কন্ডিশনে প্রথম ১০-১২ ওভারে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকে। আমরা বেশি উইকেটও হারিয়ে ফেলেছি, যেটা ব্যাটিংকে কঠিন করে তুলেছে।’
প্রথম ইনিংসেই ২২৭ রানের লিড পাওয়া ভারত চাইলে বাংলাদেশকে ফলোঅন করাতে পারত। কিন্তু সেই পথে হাঁটেনি স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেট হারিয়ে আরো ৮১ রান যোগ করেছে দলটি। সব মিলিয়ে লিড দাঁড়িয়েছে ৩০৮ রানের। আজ তৃতীয় দিনে এই লিড আরো বাড়িয়ে নেবে রোহিত শর্মার দল। ম্যাচের ভাগ্য নিয়ে তাই তাসকিনকে খুব বেশি ভাবতেও হলো না, ‘দেখা যাক কী হয়।’ তবে এক ফাঁকে জানিয়ে রাখলেন যে ভারতের মতো এসজি বলে খেলার অভিজ্ঞতা না থাকাতেই নিজেদের সামর্থ্য মেলে ধরতে পারেননি ব্যাটাররা।