প্রথম দুই টেস্ট হেরে সিরিজ আগেই খুইয়েছে শ্রীলঙ্কা। তৃতীয় ও শেষ টেস্টে তারা নেমেছিল ধবলধোলাই এড়ানোর লক্ষ্যে। ৮ উইকেটের সান্ত্বনার জয়ে সেই লক্ষ্যে সফলও হয়েছে অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভার দল। ২০১৪ সালের পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম জয় পেয়েছে শ্রীলঙ্কা।
ওভাল টেস্টে ২১৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শ্রীলঙ্কার শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না। দলীয় ৩৯ রানে দিমুথ করুণারত্নে (৮) ড্রেসিংরুমে ফেরেন। ওপেনিং সঙ্গী ফিরলেও কুশল মেন্ডিজের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৬৯ রানের জুটি গড়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেন পাথুম নিশাঙ্কা। ৩৯ রানে উইকেটরক্ষক-ব্যাটার মেন্ডিজ আউট হলে জয়ের বাকি কাজটুকু অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে নিয়ে সারেন নিশাঙ্কা।
শ্রীলঙ্কাকে ৮ উইকেটের জয় এনে দেওয়ার পথে তৃতীয় উইকেটে ১১১ রানের জুটি গড়েন ম্যাথুস-নিশাঙ্কা। ম্যাথুসের ৩২ রানের বিপরীতে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন নিশাঙ্কা। ২০২১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। এবার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি যখন পেলেন তত দিন ৩ বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে।
প্রথম ইনিংসের ৬৪ রানের বিপরীতে দ্বিতীয় ইনিংসে ১২৭ রানে অপরাজিত থাকেন নিশাঙ্কা। ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ইনিংসটি সাজিয়েছেন ২ ছক্কা ও ১৩ চারে। ২৬ বছর বয়সী ওপেনারের সেঞ্চুরির আগে অবশ্য জয়ের অর্ধেক কাজটা সেরে রাখেন শ্রীলঙ্কার বোলাররা।
এর আগে ওলি পোপের (১৫৪) সেঞ্চুরি ও বেন ডাকেটের (৮৬) ফিফটিতে প্রথম ইনিংসে ৩২৫ রান করে ইংল্যান্ড। স্বাগতিক ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের জবাবে নিশাঙ্কা (৬৪)-ধনঞ্জয়া (৬৯)-কামিন্দু মেন্ডিসের (৬৪) ফিফটিতে শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংসে ২৬৩ রান করে। শ্রীলঙ্কার কাছে তৃতীয় টেস্ট হারার আগে দ্বিতীয় ও প্রথমটি ১৯০ রানে এবং ৫ উইকেটের জয় পায় ইংল্যান্ড।