বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর হঠাৎ করেই নিজের ফেসবুক আইডিতে হাজির হন চলচ্চিত্র তারকা ইলিয়াস কাঞ্চন। তবে হঠাৎ করে ফেসবুকে আসার বড় কারণ বেশ কিছু গোপন বিষয় শেয়ার। কী সেই বিষয়?
লাইভের শুরুতেই ইলিয়াস কাঞ্চন ভক্তদের উদ্দেশে বলেন, ‘ব্যস্ততার কারণে অনেক দিন ধরে আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে পারছি না, ভালো লাগছিল না। আগামীকাল (শুক্রবার) যেহেতু ছুটির দিন, তাই বৃহস্পতিবার দেরি করে ঘুমালেও ক্ষতি নেই।
এর পরই নায়ক বলেন, ‘আমি আমার জীবনের কিছু মজার ঘটনা ও দুর্বলতা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব, যার মধ্যে অন্যতম একটি আমার আঙুল। ছোটবেলায় আমার আঙুল দুটো পুড়ে গিয়েছিল। কিন্তু শুধু পুড়ে যাওয়ার কারণে আমার আঙুল দুটোর এত ক্ষতি হয়নি।
ছোটবেলার স্মৃতিচারণা করে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘আমার বাবারা সাত ভাই ছিলেন। আমার বাবা ছিলেন চার নম্বর। আমি তখন হামাগুড়ি দিয়ে চলি।
অভিনেতা হিসেবে সিনেমার ক্যারিয়ার প্রসঙ্গে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘অল্প বয়সে যখন নায়ক ছিলাম, তখন অনেক সতর্ক হয়ে কাজ করেছি। যেন পর্দায় আমার এ দুর্বলতা কখনো দেখা না যায়। তবে এখন আমি সে গোপন কথাটা বলছি। কারণ এখন তো আর আমি নায়ক নই।’
এরপর একটু হেসেই ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘শুনেছি, বলিউডের জনপ্রিয় হৃতিক রোশনেরও আঙুলের সমস্যা রয়েছে। তার এক হাতে ৫ আঙুলের জায়গায় ৬ আঙুল। তিনিও পর্দায় এ সমস্যা ভক্তদের কাছে আড়াল করেন সতর্কভাবেই। কারণ ভক্তরা নায়কদের পারফেক্ট দেখতেই অভ্যস্ত। নায়কের দুর্বলতা তাদের মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তবে এত দিন পরে আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নিজের এ দুর্বলতা আমি শেয়ার করলাম। এখন না বললে হয়তো কখনোই আর এ মজার ঘটনা কিংবা নিজের দুর্বলতা বলা হবে না।’
ফেসবুক লাইভে গ্রামজীবনে বেড়ে ওঠা আরো অনেক অভিজ্ঞতার কথাও ইলিয়াস কাঞ্চন ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেন। জীবনে অনেকবারই মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পরম করুণাময় আল্লাহর কৃপায় বেঁচে গেছেন এমন রোমাঞ্চকর ঘটনাও ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেন গুণী এ শিল্পী।