মিয়া মোহাম্মদ ছিদ্দিক,কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) থেকেঃ প্রতি বছরই কোরবানি দিতাম। কিন্তু এবছর বন্যার পানিতে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে আমাদের কোরবানি দেওয়ার ইচ্ছে। বন্যার পানি আর আমাদের চোখের পানি এক হয়ে গেছে।  একবেলা খাবার কপালে জোটবে কিনা তা নিয়ে প্রতিমুহূর্তে চিন্তার মধ্যে থাকতে হচ্ছে।  দুইটা ছেলে মেয়ে একসপ্তাহ যাবত কান্না করছে ভালো খাবার খেতে।   

কথাগুলো আক্ষেপের স্বুরে বলছিলেন রাজিয়া খাতুন ( ৬৭) নামের এক বানভাসি ।  এ আক্ষেপ শুধু রাজিয়ার নয়।  এমন শতাধিক পরিবার চরম কষ্টে আর অভাবে দিনাতিপাত করছে।  খাবার,  চিকিৎসা, বাসস্থান এসব নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েছে কয়েক হাজার মানুষের মধ্যে।  

 

কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকা গুলো বন্যায় তলিয়ে গেছে। এর মধ্যে  কটিয়াদী উপজেলার হাওর বেষ্টিত দুটি ইউনিয়নের ১০ টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে।  

 

সরেজমিনে বন্যা কবলিত মানুষের সাথে কথা হয়। তাদের মধ্যে রহিমা বেগম (৫০) বলেন, 'বাবা আমি স্বামী হারা মহিলা। আমার একটা মেয়ে আছে বয়স (১০) সে ঈদে নতুন কাপড় কিনতে বায়না করেছে। তার একটা জামা হলে মনে তৃপ্তি পেতাম।' 

 

জামেলা বেওয়া (৭০) বলেন, ' সামনে ঈদ, কিন্তু অভাবের কারণে মনে আনন্দ আসেনা। আমরাও চাই বছরে একটি ঈদ আনন্দে করতে কিন্তু ভাগ্য আমাদের সহায় না।  ঈদে কুরবানি দেওয়া আমাদের জন্য দুঃস্বপ্নের মতো'।  

 

এলাকাবাসী জানান, সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তারা অতি সামান্য কিছু সহায়তা পেয়েছেন।  তাদের আরো বেশি খাদ্য সহায়তা দরকার।  

বন্যাকবলিত মানুষেরা সরকারের সহায়তা ও পুনর্বাসন চেয়েছেন।