মাদারীপুরের কুমার নদ একসময় ছিল যৌবনা। সময়ের বিবর্তনে অযত্ন, অবহেলা আর দখল-দূষণে সেই নদ হারিয়েছে যৌবন। সেই নদ নিয়ে স্মৃতিচারণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম। শুক্রবার দুপুরে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তিনি একটি স্ট্যাটাস দেন।

 

 

তিনি লেখেন, ‘শ্রীপুরের কুমার একটি মরা নদ। শুধু বর্ষায়ই পর্যাপ্ত পানি পাওয়া যায়। অথচ বছরের বাকি দিনগুলো পানা পুকুর— স্তব্ধ পুকুর। ১৯৫০ সালের মাঝামাঝি যখন আমার বাবা-মায়ের বিয়ে হয়েছিল, তখন এটি একটি বড় নদ ছিল, শুষ্ক শীতের ঋতুতেও পানি ধরে রাখা ছিল।

আমার মা মনে করিয়ে দেন, কিভাবে মাঝে মাঝে অ-মোটরচালিত নৌকা দিয়ে নদ পার হতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগে। ১৩-১৪ বছরের মেয়ে যখন বিয়ের সময় ও পৈতৃক বাড়ি—মাগুরা ফুলবাড়ি—নদীর অনেক দূরে ছিল। কুমার প্রধান নদ, এটি পার হয়ে মাগুরার উত্তর দিকের চিউগাছীতে স্বামীর গ্রামে প্রথম গমন করেন। সে সময় মাগুরা ছিল যশোরের বড় ঔপনিবেশিক জেলার অংশ।

 

‘তাদের বিয়ের পর বাবা তার তরুণী কনের জন্য পালকি ভাড়া করে দিয়েছেন। গাংনালিয়া বাজারে এসে কুমারের ওপর নৌকা নিয়ে কাজলী ঘাটে নদীর ওপারে পৌঁছায়। অতঃপর পালকি বাহকরা— এক ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে হনু নদীতে সচিলাপুর নাজার। তারা একটি পাল্টি নৌকায় করে ছোট্ট নদীটি পার হয়ে গেছে। সচিলাপুর থেকে বাবার গ্রাম চৌগাছী আসতে আরো এক ঘন্টা লাগলো।

ফুলবাড়ি থেকে চৌগাছী পর্যন্ত -- পুরো জার্নিটা -- প্রায় পাঁচ-ছয় ঘন্টা লেগেছে। তিনি ক্লান্ত যখন তিনি প্রথমবারের জন্য তার স্বামীর বাড়িতে পৌঁছলেন।’

 

সবশেষে তিনি লেখেন, ‘আজকাল ফুলবাড়ি থেকে চৌগাছীর মাঝে গাড়িতে করে যেতে প্রায় আধা ঘন্টা লাগে।’