জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আটাপুর ইউনিয়নে সড়ক বিভাগের আওতায় নির্মীয়মাণ কলন্দপুর সেতুর এক পাশের নির্মাণকৃত গার্ডার ধসে পড়েছে।

আজ রবিবার বিকেলে গার্ডার ধসে পড়ার পর তড়িঘড়ি করে ধসে পড়া গার্ডার মাটি দিয়ে ঢেকে দিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। গার্ডার ধসে পড়ায় নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সেতু নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। সড়ক বিভাগ বলছে, নির্মাণকাজে ত্রুটি হওয়ায় সেতু নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

 

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি জয়পুরহাট সড়ক বিভাগের আওতায় জরাজীর্ণ, অপ্রশস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বিদ্যমান বেইলি ও অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ সেতু প্রতিস্থাপন প্রকল্পের আওতায় কলন্দপুর সেতু নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সামছুল আলম দুদু। প্রায়েআট কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণের কাজ পেয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এম ইঞ্জিনিয়ারিং। প্রকল্পের নিয়ম মোতাবেক সেতু এলাকায় সেতু নির্মাণের বিস্তারিত তথ্য সংবলিত সাইনবোর্ড থাকার কথা থাকলেও সড়ক বিভাগ তা করেনি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, অধিকাংশ সময় রাতের বেলায় সেতু নির্মাণের কাজ চলত।

 
নিম্নমানের বালু, পাথর ও কম ঘনত্বের রড দিয়ে সেতু নির্মাণের কাজ করলেও সড়ক বিভাগের কোনো কর্মকর্তাকে তদারক করতে দেখা যায়নি।

 

কলন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা কৃষক আব্দুর রহিম বলেন, ‘সেতু নির্মাণে পাথরের চেয়ে বালুর পরিমাণই বেশি ছিল। আজ রবিবার সেতুর পশ্চিম পাশের নির্মাণকৃত গার্ডার ধসে পড়ে। এরপর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন ভেকু মেশিন দিয়ে ধসে পড়া গার্ডার মাটি দিয়ে ঢেকে দেয়।

 

 

এলাকাবাসীর দাবি, ঢালাই করে রাখা অপর গার্ডারটিও নিম্নমানের। সেটিও শাটার খুলে নিলে যেকোনো সময় ধসে পড়বে।

স্থানীয় বাসিন্দা উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহারিয়ার রহমান জানান, সেতুর গার্ডার ধসে পড়ায় সড়কে চলাচল করা সাধারণ মানুষ সরকারের বদনাম করছে।

তিনি দাবি করেন, ব্যাপক অনিয়ম হওয়ায় নির্মাণকৃত সেতুর বাকি অংশ ভেঙে দিয়ে নতুন করে সেতু নির্মাণ না করলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটবে।

জয়পুরহাট সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মুনিরুজ্জামান মোবাইল ফোনে কালের কণ্ঠকে গার্ডার ধসে পড়ার ও অনিয়মের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘সেতু নির্মাণের সব কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

 
সেতুর বাকি অংশ উপযুক্ত না হলে সেটিও বাতিল করা হবে। প্রকল্পের সাইডে খুব দ্রুতই সাইন বোর্ড টাঙিয়ে দেওয়া হবে।’