কাজী মামুন, স্টাফ রিপোর্টারঃঃ- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,মেডিক্যাল কলেজ,শেখ হাসিনা সেনাবাহিনী ক্যাম্প,ইপিজেড, পায়রা বন্দর, তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ইকোপার্ক, পানি যাদুঘর, জাহাজ মাড়া বিচ,সোনার চর, বদ্ধ মন্দির, ঐতিহাসিক বেহুলা লখিন্দর উড়াল স্থান, এ জেলাকে ভ্রমণ পিপাসুদের আকর্ষণ করেছে প্রতিনিয়ত বহুমাত্রায়। বর্তমান সময়ে পর্যটনদের কেন্দ্র বিন্দু হচ্ছে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতকে গিড়ে। সৈকতের বর্তমান চিত্র দেখা মিলছে অগোছালো স্থাপনা নির্মাণ ও ব্যবসায়িক কার্যক্রমের ফলে সৈকত হারাচ্ছে তার সৌন্দর্য, সৈকতে বিচ পরিপূর্ণ হচ্ছে ময়লার ভাগাড়ে। সাগর কন্যা পটুয়াখালী কুয়াকাটা পর্যটন স্পট বলতে সমুদ্র সৈকতকে বোঝায়, আর এ সৈকত কে কেন্দ্র করে প্রতিদিন হাজার হাজর মানুষ দেশ ও বিদেশে থেকে অবসর কিন্বা চিত্তবিনোদনের জন্য প্রতিনিয়ত ছুটে আসেন কুয়াকাটায়।  গত ২৫/২২ ইং পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর থেকেই বর্তমান বর্ষা মৌসুমে হাজারো মানুষের ঢল নেমেছে সমুদ্র সৈকত এলাকায়। দীর্ঘ ২ বছর করোনার প্রকোপ কাটিয়ে উঠে বর্তমানে নিরবিচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগের ফলে পর্যটকদের উপচে পরা ভিড় জেনো সস্তির মুখ দেখছেন এখানকার হোটেল, মোটেলের মালিকগন। ব্যবসায়িরা জানান, পদ্মা সেতুর মধ্যে দিয়ে দেশের ও বিদেশের নানান স্থান থেকে পর্যটক কম সময়ে কুয়াকাটা আসতে পারবেন। পদ্মা সেতু পারি দিয়ে পরিবার নিয়ে আসা ময়মনসিংহের মোঃ জামিল বলেন, আমি গত ২০০১ সনে আমার কিছু বন্ধুদের সাথে এসেছিলাম তখন ছয়টি ফেরী পারহতে হয়েছে রাস্তাগুলো ছিল খানা খন্দ ও আঁকাবাকা চিকন, ঢাকা থেকে তখন প্রায় ১২ ঘন্টা সময় লাগত। এখন ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা হয়ে মাত্র ১০-১১ ঘন্টায় আমি কুয়াকাটা আসতে পেরে সত্যি আমার এ ভ্রমণ ভোলার মতন না বলে তিনি জানান। অপরদিকে সড়ক পথ নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগের কারনে বরগুনা তাল তলী'র ইকো পার্কে দর্শনার্থীদের চাপ অনেকটাই সময়ের গতি বেড়েছে গানিতিক হাড়ে। সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা ভ্রমণে আসা পর্যটক গন এদের মধ্যে নতুন মাত্রা যোগকরছেন। কুয়াকাটা সৈকত থেকে তাল তলী সড়ক জনপথ সহযোগী নিরবিচ্ছিন্ন হওয়াতে ইকোপার্ক এর পর্যটক সংখ্যা দেখা যায় উল্লেখযোগ্য হাড়ে। তালতলী ইকোপার্কে ঘুরতে আসা পর্যটকরা জানান, পটুয়াখালী হয়ে কুয়াকাটা এর মাঝে তালতলীর এই ইকোপার্ক টি আমাদের মতন পর্যটকদের মনের খোরাক মিটিয়েছে। প্রাকৃতিক ভাবে গড়ে উঠা ও বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় তাল তলী'র ইকোপার্ক, সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা, সোনার চরের বালুর মায়াবী খেলা এবং সূর্য অস্ত ও উদয় দেখার একমাত্র স্থান কুয়াকাটাকে দেখতে অতীতর তুলনায় বর্তমানে প্রতিদিন বেড়েই চলেছে পর্যটকদের আনাগোনা, বাড়ছে পরিবহন ব্যবস্থা সড়ক পথে প্রতিনিয়ত বেড়ই চলছে বিভিন্ন ধরনের হালকা,বাড়ি মটর চালিত যানবাহন।  এমন সময়ে সড়ক পথে পটুয়াখালী জেলার প্রবেশ মুখ লেবুখালী পায়রা ব্রিজ পার হয়ে কুয়াকাটা পর্যন্ত প্রায় ৪৭টি বাঁকা মোড় ও ছোট বড় ২৭ টি বাজার বা স্টান্ড এবং প্রয়োজনের চেয়ে ছোট দুইলেন সড়ক হওয়াতে প্রতিনিয়ত সড়ক পথে ঘটছে দুর্ঘটনা, হারাচ্ছে প্রান।  পর্যটক ও স্থানীয় দের দেয়া তথ্য জানাযায়,  এ মহাসড়কে দুর্ঘটনার জন্য প্রায় ক্ষেত্রে দেখাযায় তিন চাকা মোটরযান ও মোটরসাইকেল এবং প্রয়োজনের তুলনায় সিমত সড়ক ব্যবস্থা এর জন্য দায়ী। পদ্মা সেতু'র কারনে এ ব্যবস্থা আরো গতি বাড়বে বলে আশংকা করছেন সাধারণ জনগণ ও পর্যটক। তারা জানান, এ অঞ্চলের সড়ক জনপথ দ্রুত সরলীকরণ ও সড়ক গাইড লাইন প্রকাশ করে তা আইনে পরিনত করলে সাগর কন্যা কুয়াকাটাকে কেন্দ্র করে অর্থনিতির চাকা আরো বেগমান হবে। অপরদিকে কুয়াকাটা ঘুরতে আসা পর্যটক জানান, সৈকতে যত্রতত্র ভাবে দোকান,হোটেল, বাজার গুলোর কারনে বিচে ঢুকতে হলে বিরক্তিকর পরিবেশের মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করতে হয়, চিত্তবিনোদন শেষে হটেলে যেতে নানান ধরনের মাছ পঁচা দুর্গন্ধ, ব্যবসায়িক কাজে কর্মরত কিছু বাজে মানুষের বাজে কমেন্ট ঘুরতে আসা পর্যটকদের বিরক্তিকর পরিবেশে সৃষ্টি করে এতে পর্যটক অপমানিত হয় অনেক সময় ঘটে নানান ধরেনর আপত্তিকর ঘটনা। অপরদিকে দেখা যায় সৈকতে যত্রতত্র বাজার ও ভাসামন দোকান পাট এবং অপরিকল্পিত ভাবে ব্যক্তি মালিকানাধীন নানান প্রকার ছোট মাঝারি আবাসিক হোটেল এর মূল কারন।কম টাকায় পরিবহন স্টাফ ও ভাসমান ব্যবসায়িক এসব হোটেলে রাত্রি যাপন করেন আর নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য এটা অনেক কিছু, তবে সৈকতে লাগো যত্রতত্র, পরিকল্পনা বিহীন, অনিয়ম তান্ত্রিক ভাবে চলা এসব আবাসিক হোটেল গুলোকে রাত হলে চলে জুয়া ও মাদকের মিলন মেলা।  সৈকতে ভাসামান হরেক ধরনের সামুদ্রিক মাছের বাজার ও ফ্রাই সপ গুলোর তীব্র ঝাঁঝাল  গন্ধ এবং সৈকতের পরিবেশকে করছে বিষাক্ত। অপরিকল্পিত জীবন ব্যবস্থা বাণিজ্যিক কারনেই সৈকত হারাতে বসেছে তার জৌলুস, প্রতিনিয়ত ধিরে ধিরে কমতে শুরু করেছে সাগর বিচ পয়েন্ট এড়িয়া।  প্রতিবছর সাগর তীর ভাংগন এর ফলে রুপ বদলাচ্ছে এ সৈকতের।  অপরদিকে প্রায় সময়ে সাগরে বেসে বিচে আসছে  সামুদ্রিক নানান প্রজাতির প্রানী মরা মাছ এটাও পরিবেশের বিরুপ আচরণ বলে মনে করছেন সকলে। সাধারণ মানুষ, আগত পর্যটক ও ব্যবসায়ীরা সার্বিক বিষয় মনে করেন, পদ্মাসেতুর উদ্বোধন দক্ষিণাঞ্চলের এ জেলা কে একটি নিরাপদ সুন্দর বসবাস উপযোগী করতে নিতে হবে যুগোপযোগী পদক্ষেপে, করতে হবে অতি দ্রুত সড়ক,মহাসড়ককে ৬ লেনে উন্নতি করে সরলীকরণ এবং পর্যটক স্পটকে সজীব ও দৃষ্টি নিন্দনীয় করে তলতে দ্রুত পদক্ষেপ নিলে আগামী দিনের কাছে এ অঞ্চল দ্বিতীয় সিংগাপুর কিন্বা উন্নত আধুনিক কোন রাষ্ট্র হতে খুব বেশি সময় লাগবেনা বলে জানান।