ঢাকা: কোনো ব্যক্তির নতুনভাবে আর মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি জানান, কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধা মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের কারণে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হওয়ার যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও যদি তিনি নির্ধারিত ফরমে নির্ধারিত সময়ে আবেদন না করে থাকেন, তাহলে এখন নতুনভাবে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আবেদন করার কোনো সুযোগ নেই।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে লিখিত প্রশ্নোত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নাম নথিভুক্ত করতে সুদীর্ঘ ৫০ বছর পর্যন্ত আবেদন করার সুযোগ ছিল। মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত না হয়ে থাকলে ভাতা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ভাতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি সনদ না পেয়ে থাকলে আবেদন করতে পারবেন।

একই প্রশ্নের জাবাবে মন্ত্রী মোজাম্মেল হক জানান, ইতিমধ্যে ৬৪টি জেলায় এক লাখ ৮২ হাজার ৩৫২টি ডিজিটাল সার্টিফিকেট এবং ৯৫ হাজার ২৪৫টি স্মার্ট আইডি কার্ড দেওয়া হয়েছে। সমন্বিত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত বাকি মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সনদ এবং জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মার্ট আইডি কার্ড তৈরির কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা বিতরণ আদেশ-২০২০’-এর নির্দেশনা মোতাবেক পরিচালিত হয়ে থাকে।

মন্ত্রী আরো জানান, উক্ত আদেশের ৩ নম্বর অনুচ্ছেদে ‘সম্মানী ভাতা প্রাপ্তির যোগ্যতা’ হিসেবে বর্ণিত ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে রক্ষিত ৩৩ ধরনের প্রমাণকের মধ্যে যেকোনো একটি প্রমাণকে নাম থাকলে; ৫ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত সম্মানী ভাতা প্রাপ্তির জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা বা সুবিধাভোগী ‘ফরম’ অনুযায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বা সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন দাখিল করলে, উক্ত আদেশের ৬ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত আবেদন যাচাই-বাছাই কমিটি ৭ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত ‘আবেদন যাচাই বাছাই পদ্ধতি’ অনুসরণ করে চূড়ান্ত সুপারিশসহ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠালে উক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা পাবেন।