পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ড. নমিতা হালদার বলেছেন, বাংলাদেশ উন্নয়নে এগিয়ে গেছে এবং যাচ্ছে। কিন্তু সমাজে বৈষম্য, বিশেষ করে আঞ্চলিক বৈষম্য দিনদিন বেড়ে চলছে। এই বৈষম্য দূর করাই আমাদের কাজ।

রোববার (১৩ নভেম্বর) পিকেএসএফ দিবস উপলক্ষে ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। 

‘সাম্যের সাথে উন্নয়নের পথে’ স্লোগান ধারণ করে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও বার্তা প্রেরণ করেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান।

পিকেএসএফ এমডি বলেন, আবাসন ও নাগরিক সুবিধা খাতে ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বাজেট বরাদ্দে দেশের ৬টি জেলাকে শতকরা প্রায় ৭৪ ভাগ এবং বাকি ৫৮টি জেলাকে মাত্র ২৬ ভাগ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে কম বরাদ্দ পাওয়া জেলাগুলোর মধ্যে ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর ও বরগুনা ০.২০ ভাগ করে অর্থ বরাদ্দ পেয়েছে।

ড. নমিতা হালদার বলেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্য নিরসনের লক্ষ্যে তিন দশক আগে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয় পিকেএসএফ। দেশের এই শীর্ষ উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানটি আজ প্রায় ১ কোটি ৭৬ লাখ সদস্যের একটি পরিবার।

তিনি আরও বলেন, শুধু অর্থায়ন নয় বরং উদ্যোগ উন্নয়ন, দক্ষতা উন্নয়ন, ঝুঁকি নিরসন, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আবাসন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সুপেয় পানি, কৃষি এবং জলবায়ুর অভিঘাত সবকিছু মাথায় নিয়েই বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে পিকেএসএফ। পিকেএসএফ এর বিস্তৃত বৈচিত্র্যময় কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে ১.৭৬ কোটির অধিক পরিবার। অর্থাৎ দেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ জনগোষ্ঠী। এসব অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মসূচিতে নারীর অংশগ্রহণ ৯০ ভাগেরও অধিক।

সভাপতির বক্তব্যে পিকেএসএফ এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, শুধুমাত্র অর্থনৈতিক উন্নয়ন নয়, প্রতিটি মানুষের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা পিকেএসএফের মূল লক্ষ্য। পিকেএসএফ এর উন্নয়ন ধারণার মূলে রয়েছে অন্তর্ভুক্তিমূলক, অংশগ্রহণমূলক ও সমতাভিত্তিক উন্নয়ন।