দেশ পুনর্গঠনে পোশাক প্রস্তুতকারকদের সহযোগিতা চেয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নিজ কার্যালয়ে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পোশাক উদ্যোক্তাদের প্রতিনিধিদলে ছিলেন সংগঠনের সহসভাপতি ও পরিচালকরা।
ড. ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি ভঙ্গুর অর্থনীতি পেয়েছে। সরকার এখন দেশকে ঠিক করতে এবং এটিকে প্রবৃদ্ধির পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘সব প্রতিষ্ঠান ভেঙে গেছে। আমরা একটা বিশৃঙ্খলা অবস্থার মধ্যে আছি।
২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ ব্যর্থ হতে পারে না। ব্যর্থ হলে এর প্রভাব হবে বিপর্যয়।
পোশাক প্রস্তুতকারকদের ব্যবসাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘ব্যবসাকে রাজনীতির সঙ্গে জড়াবেন না, আপনাদের এই বিষয়ে একটি স্পষ্ট বার্তা দিতে হবে।’
শেখ হাসিনার ১৫ বছরের নৃশংস স্বৈরাচারের পতন ঘটানো ছাত্র বিপ্লবকে ‘মানব ইতিহাসে নজিরবিহীন’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘তারা আমাদের ওপর আস্থা রেখেছে।
বিজিএমইএ নেতারা বলেন, জাতির এই গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে তাঁরা অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বকে পূর্ণ সমর্থন করেন। তাঁরা এ খাতের জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠনের দাবি জানান। অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করবে বলে তাঁরা প্রত্যাশা করেন।
সংগঠনটি ঋণ পরিশোধে শিথিলতা এবং ইউটিলিটি বিল পরিশোধসহ কয়েকটি দাবি জানান। অধ্যাপক ইউনূস ধৈর্য ধরে তাঁদের কথা শোনেন এবং তাঁদের দাবিগুলো দেখার প্রতিশ্রুতি দেন।
ড. ইউনূস বলেন, ‘আমরা প্রতিটি পর্যায়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করব। বাংলাদেশের জনগণের প্রচুর প্রতিভা রয়েছে। বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। আমরা চাই এটি আরো বাড়ুক।’