আজ বিজয়ের মাস ডিসেম্বর শুরু। এদিন দারুণ এক খবর জানাচ্ছি আপনাদের। সম্ভবত এটি শুধু আমেরিকার নিউইয়র্কেই নয়, বলা যায় বাংলাদেশের বাইরে এই প্রথম। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট উত্তর আমেরিকা নিউইয়র্কে অস্থায়ী ভাবে নির্মাণ করতে যাচ্ছে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ। সংগঠনটি ২৩ বছর ধরে নিউইয়র্কে পালন করে আসছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। এবার দুই যুগে পদার্পণের এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে প্রথমবারের মতো স্মৃতিসৌধ নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ১৩ ডিসেম্বর নিউইয়র্কের ডাইভারসিটি প্লাজায় নির্মিত হবে এই অস্থায়ী স্মৃতিসৌধ। আর এতে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করবেন, শ্রদ্ধা জানাবেন প্রবাসীরা।

একবার ভাবুন তো, আপনি ব্যক্তিগত ভাবে, পরিবার নিয়ে কিংবা সংগঠনিক ভাবে দলবদ্ধ হয়ে পুষ্পস্তবক রাখছেন শহীদ বেদিতে। প্রবাসের ধর্ম-বর্ণ, শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে বিভিন্ন দল, সংগঠনের প্রতিনিধি ও ব্যক্তিরা শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। নীরবে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে স্মরণ করছেন ভয়াল ও নৃশংস সেই হত্যাযজ্ঞের ঘটনা। এ সময় বিউগলে বেজে উঠছে করুণ সুর!! ভাবতেই গুজবাম্পস হচ্ছে, তাই না? শরীর কাটা দিয়ে উঠছে। ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের প্রথম প্রহরের এই কর্মসূচি ছাড়াও আগের দিন (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা থেকে আবৃত্তি, সংগীত, নৃত্য এবং নাট্য ও চিত্রকলায় সাজানো হয়েছে পুরো অনুষ্ঠান।

এদিন শহীদ বুদ্ধিজীবীর সন্তানরাও থাকবেন আমাদের সাথে। আর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আবৃত্তি শিল্পী আহকাম উল্লাহ যদি থাকেন আয়োজনে তা হবে আমাদের বিরাট পাওনা। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাতে উডসাইডে এক্সপ্রেস প্রিন্টিংয়ে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট উত্তর আমেরিকার এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের আহ্বায়ক মিথুন আহমেদের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন আকবর হায়দার কিরণ, মিনহাজ আহমেদ সাম্মু, জাহেদ শরীফ, আবীর আলমগীর, গোপাল সান্যাল প্রমুখ। ঐতিহাসিক এই সন্ধিক্ষণে আসুন, আপনিও সম্পৃক্ত হোন। উত্তর আমেরিকা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট আপনাদের সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। আমাদের চেতনায় নতুন এক আকাশ। সেই আকাশে আপনাকে আমাদের পাশে চাই।