নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ইসলামপন্থী ১১টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে সাতটি নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। কমিশনে মোট ৪৪টি রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন রয়েছে। সর্বশেষ গতকাল শনিবার ভোটে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন।
নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া অন্য ছয়টি দল হলো : ইসলামী ঐক্যজোট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন, জাকের পার্টি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি।
গতকাল ঢাকার কামরাঙ্গীর চরের আশরাফাবাদ জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়া মাদরাসায় শুরা সদস্যদের বৈঠকে নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন।
দলটির প্রচার সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ৯টি ইসলামী দলের ১৪ জন নেতা। সেখানে খেলাফত আন্দোলনের আমির আতাউল্লাহ হাফেজ্জীও ছিলেন।
খেলাফত আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হওয়ার পর মনোনয়নপত্র দেওয়া শুরু হয়েছে। আমরা মনোনয়নপত্র থেকে কোনো টাকা-পয়সা নিই না।’
বিএনপি ও এর সমমনা রাজনৈতিক দলের বেশির ভাগই নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তবে দুই দিন আগে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা কল্যাণ পার্টি নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। বিএনপি ছাড়াও এলডিপি, ইসলামী আন্দোলন ও বাম ঘরানার দলগুলো এখনো নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় আছে বলে জানা গেছে।
বিএনপির সমমনা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) কোনো অবস্থাতেই বর্তমান সরকারের অধীনে দ্বাদশ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বলে জানিয়েছে। জেএসডি নির্বাচনে যেতে পারে—এমন গুঞ্জনের মধ্যে গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্তের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন দলের সভাপতি আ স ম আবদুর রব। একই সঙ্গে দ্বাদশ সংসদের ‘পাতানো’ নির্বাচন থেকে দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিদের বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।