বাংলাদেশে সয়াবিন, গরুর মাংস ও সার রপ্তানি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে আর্জেন্টিনা। অন্যদিকে কৃষি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ-আর্জেন্টিনার মধ্যে সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছে ঢাকা।
মঙ্গলবার (১২ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকা সফররত আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্র, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও উপাসনা মন্ত্রণালয়ের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ক্লাউদিও হাভিয়ের রসেনওয়াইগ। এ সময় উভয়পক্ষ যার যার আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে আর্জেন্টিনার আন্ডার সেক্রেটারি দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা হস্তান্তর করেন। প্রতিমন্ত্রী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় আর্জেন্টিনার বিখ্যাত কবি ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোর নেতৃত্বে দেশটিতে আন্দোলনের কথা স্মরণ করেন। শাহরিয়ার আলম বলেন, কবি ওকাম্পো যুদ্ধের নিন্দা ও বাঙালিদের ন্যায়সঙ্গত সমর্থনে জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।
বৈঠকে তারা দুই দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার ওপর গুরত্বারোপ করেন। উভয় পক্ষই স্বীকার করেছে যে, সার ও জ্বালানি সরবরাহে বর্তমান বিশ্বব্যাপী সংকট কৃষি উৎপাদনকে আরও ব্যাহত করতে পারে।
একই দিনে আর্জেন্টিনার আন্ডার সেক্রেটারি চার সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে পররাষ্ট্র-সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গেও বৈঠক করেন। উভয়পক্ষ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। পররাষ্ট্র সচিব দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক পরামর্শ প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
আর্জেন্টিনার আন্ডার সেক্রেটারি জানান, দেশটি ঢাকায় কূটনৈতিক মিশন খোলার বিষয়ে সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে। উভয়পক্ষ শিগগিরই বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে একটি ভার্চুয়াল বৈঠকের আয়োজন করতে সম্মত হয়।
উভয় পক্ষই আশাবাদ ব্যক্ত করে যে, এ সফর দুই দেশের মধ্যে নতুন করে সম্পর্ক গড়ে তোলার পথ প্রশস্ত করবে।
প্রতিনিধি দলটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন তালুকদারের সঙ্গেও স্ব স্ব মন্ত্রণালয়ে সাক্ষাৎ করেন।