ঢাকা: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। চারদিন পর করোনায় মৃত্যুশূন্যের খবর জানাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগে, গত ২৪ জুন করোনায় মৃত্যুশূন্য ছিল দেশ। ফলে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৪৫ জনই থাকল।
একই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ২৪১ জন। এ নিয়ে শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৯ লাখ ৭১ হাজার ৬০২ জনে। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ২৩ শতাংশ।
গতকাল করোনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়। শনাক্ত হন ২০৮৭ জন। বুধবার (২৯ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের ৮৮০টি ল্যাবরেটরিতে ১৪ হাজার ৯১২টি নমুনা সংগ্রহ এবং ১৪ হাজার ৭১২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ২৩ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
মহামারি শুরুর পর থেকে দেশে এ পর্যন্ত ১ কোটি ৪৩ লাখ ৩৪ হাজার ৮০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯৪ লাখ ৩০ হাজার ১৫৪টি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪৯ লাখ তিন হাজার ৯২৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এদিকে, একদিনে করোনাভাইরাস থেকে সেরে উঠেছেন ১৫২ জন। এ নিয়ে দেশে করোনা থেকে সুস্থ হলেন ১৯ লাখ ৭ হাজার ২১৯ জন।
করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের দাপট শিথিল হয়ে আসায় গত ফেব্রুয়ারির পর থেকে দেশে সংক্রমণের হারও কমতে থাকে। এরই ধারাবাহিকায় গত ২৬ মার্চ দৈনিক শনাক্ত একশোর নিচে এবং ৫ মে তা আরও কমে ৪ জনে নামে। তবে গত ২২ মে’র পর থেকে সংক্রমণ আবারও ঊর্ধ্বমুখী রূপ নেয়।
গত ১২ জুন দৈনিক শনাক্ত ১০০ ছাড়ানোর মাত্র এক সপ্তাহের মাথায় তা আরও বেড়ে ৮০০ ছাড়িয়ে যায়।
এরইমধ্যে মঙ্গলবার দেশে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট বা উপ-ধরন শনাক্ত হওয়ার তথ্য জানিয়েছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারের একদল গবেষক। নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্টটির নাম দেয়া হয়েছে বিএ.৪/৫ (BA.4/5)। বাংলাদেশি দুজনের শরীরে সাব-ভ্যারিয়েন্টটি শনাক্ত হয়েছে। যাদের একজনের বয়স ৪৪ বছর এবং অন্যজনের ৭৯ বছর।
নতুন উপ-ধরনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের একজন করোনা প্রতিরোধী ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ এবং অন্যজন দুই ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন হাসপাতালে, অন্যজন বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।