NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, মে ৭, ২০২৫ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
ভবিষ্যতে এমন হামলার চেষ্টা করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: উপদেষ্টা অর্ডিন্যান্স আকারে আইন করে বাংলাদেশ হেলথ সার্ভিস গঠনের সুপারিশ মালয়েশিয়া সফর স্থগিত করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হামজা-শামিত জুটি সম্ভাবনার আরেক ধাপ অগ্রগতি কোরবানির চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে কমিটি গঠনের নির্দেশ - প্রধান উপদেষ্টা মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ নেত্রীকে পুলিশে দিলো শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর ফ্লাইট বাতিলের হিড়িক তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতা চান না ট্রাম্প বাংলাদেশি হিসেবে রিশাদের রেকর্ডের দিনে লাহোরের হার ভারতীয় অনুরাগীদের মন্তব্যে হানিয়া বললেন ‘আমি কেঁদে ফেলব’
Logo
logo

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা চলবে


খবর   প্রকাশিত:  ১২ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৭:৪৬ এএম

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা চলবে

ঢাকা: শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা বাতিলের আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে সোমবার এ আদেশ দেন। ফলে তার বিরুদ্ধে মামলা চলবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

আদালতে ইউনূসের আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। মামলাটি বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে গত বছর ১৭ আগস্ট হাইকোর্ট রায় দেন। সে রায়ের বিরুদ্ধে লিভটু আপিলের (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) শুনানি শেষ হয় গত ৩ এপ্রিল। সর্বোচ্চ আদালত পরে তা আদেশর জন্য রাখেন।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। বাকি তিন আসামি হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।

শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয় মামলায়। পরে ওই বছর ২১ অক্টোবর শ্রম আদালত চারজনকে হাজির হতে সমন জারি করেন। সমনে হাজির হলে ড. ইউনূসকে জামিন দেন ওই আদালত। পরে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে মামলাটি বাতিল চেয়ে হাইকোর্ট আবেদন করেন ড. ইউনূস ও নূরজাহান বেগম। ওই আবেদনের শুনানির পর মামলাটির কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন এবং মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না, জানতে রুল জারি করেন। 

হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিলে গেলে গত বছর ১৩ জুন আপিল বিভাগ স্থগিতাদেশ আরো দুই মাস বাড়িয়ে হাইকোর্টকে রুলটি নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। গত বছর ২০ জুলাই সর্বোচ্চ আদালতের এ আদেশ তুলে ধরে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর হাইকোর্টে রুল শুনানির আবেদন করে। শুনানির পর রুল খারিজ করে গত বছর ১৭ আগস্ট রায় দেন উচ্চ আদালত। এ রায়ের ফলে শ্রম আদালতে মামলাটির বিচারকাজে বাধা কেটে যায়। পরে হাইকার্টের এ রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন ড. ইউনূস ও নূরজাহান বেগম। চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশে হস্তক্ষেপ না করে আবেদন দুটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। আবেদন দুটির প্রাথমিক শুনানির পর গত ২০ ফেব্রুয়ারি সর্বোচ্চ আদালত মামলার অভিযোগ গঠন না করতে শ্রম আদালতকে নির্দেশ দেন। সে ধারাবাহিকতায় চূড়ান্ত শুনানির পর আদেশের জন্য রাখা হয়েছে।

আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামী ৮ মে জানা যাবে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ড. ইউনূস ও নূরজাহান বেগম আপিলের অনুমতি পাবেন কি না। অর্থাৎ হাইকোর্টের রায় বহাল থাকবে কি থাকবে না। এ আদেশের ওপর নির্ভর করছে শ্রম আদালতে মামলাটি চলবে কি না।’ 

ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুনের দাবি এই মামলাটি বেআইনি এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তার মক্কেলকে হয়রানি করতেই মামলাটি করা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।