NYC Sightseeing Pass
Logo
logo

বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা দিলে শস্যচুক্তি বাতিল হবে, হুঁশিয়ারি রাশিয়ার


খবর   প্রকাশিত:  ২৪ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৯:০৫ এএম

বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা দিলে শস্যচুক্তি বাতিল হবে, হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ অর্থনৈতিক জোট জি ৭ সদস্যরা যদি রাশিয়ার আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ওপর  ওপর পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে, সেক্ষেত্রে ইউক্রেনের সঙ্গে স্বাক্ষরিত শস্যচুক্তি বাতিল করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া।

সোমবার রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমানে দেশটির সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সংস্থা রাশিয়ান সিকিউরিটি কাউন্সিলের উপপ্রধান দিমিত্রি মেদভেদেভ এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বার্তায় মেদভেদেভ বলেন, ‘জি ৭ জোটের নির্বোধরা এখন সুন্দর এক সুখস্বপ্নে ডুবে আছে। তারা রাশিয়ার আমদানি-রপ্তানির ওপর পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চায়। রাশিয়ার অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেওয়ার জন্য এটা তাদের নতুন ফন্দি।’

‘আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, যদি জি ৭ যদি সত্যিই  এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ নেয়, সঙ্গে সঙ্গে আমরা শস্যচুক্তি থেকে সরে আসব; সেই সঙ্গে আরও কিছু পদক্ষেপ আমরা নেব, যেগুলো তাদের পুরোপুরি শেষ করে দেবে।’  

গত সপ্তাহে নিজ দেশের সূত্রের বরাত দিয়ে জাপানি বার্তাসংস্থা কিওডো নিউজ এজেন্সিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুসারে, জি ৭ জোটভুক্ত সাত দেশ— যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি ও জাপান রাশিয়ার আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ওপর পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারির পরিকল্পনা করছে।

প্রতিবেদনটির প্রতিক্রিয়াতেই সোমবার এই হুঁশিয়ারি দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অন্যতম ঘনিষ্ট ও বিশ্বাসভাজন দিমিত্রি মেদভেদেভ।

বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ গম উৎপাদনকারী দেশ ইউক্রেন ইউরোপের ‘রুটির ঝুড়ি’ নামেও পরিচিত। ইউরোপের ২৭টি দেশসহ বিশ্বের একাধিক দেশ গম ও সূর্যমুখী বীজের তেলের জন্য ইউক্রেনের ওপর প্রায় পুরোপুরি নির্ভরশীল।

কিন্তু ২০২২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রুশ বাহিনী ইউক্রেনে সামারিক অভিযান শুরুর পর থেকে দেশটি থেকে গম ও সূর্যমুখী তেলের চালান আসা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে হু হু করে বাড়তে থাকে গম ও ভোজ্য তেলের দাম। প্রায় ৫ মাস এই অবস্থা চলার পর জাতিসংঘ ও তুরস্কের উদ্যোগে শস্য রপ্তানি চুক্তি স্বাক্ষর করে রাশিয়া ও ইউক্রেন। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, যতদিন এই চুক্তির মেয়াদ থাকবে— ততদিন কৃষ্ণসাগর দিয়ে ইউক্রেনের গমবাহী বাণিজ্যিক জাহাজগুলো নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে। রুশ বাহিনী এক্ষেত্রে কোনো বাধা দেবে না।

শুরুতে এই ৩ মাস থাকলেও পরে আরও দু’ফায় বাড়ানো হয় চুক্তির মেয়াদ। আগামী ১৮ তারিখ সেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে।