NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, রবিবার, জুন ৮, ২০২৫ | ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Logo
logo

ইউক্রেনকে আরও ৪৫ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র


খবর   প্রকাশিত:  ২৮ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৬:১০ এএম

>
ইউক্রেনকে আরও ৪৫ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইউক্রেনকে শিগগিরিই আরও ৪৫ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা প্যাকেজ পাঠানো হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতে এ সম্পর্কে বলা হয়, নতুন এই সহায়তা প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে ৪টি হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম (এইচআইএমএআরএস) বা দূর পাল্লার রকেট নিক্ষেপকারী অস্ত্র, সাগর ও নদীপথে টহল দিতে উপযোগী ১৮টি নৌযান এবং বেশ কয়েক হাজার রাউন্ড গোলাবারুদ।

সর্বশেষ গত সপ্তাহে ইউক্রেনে ১০০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা প্যাকেজ পাঠিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সেই প্যাকেজের মধ্যে ছিল জাহাজ বিধ্বংসী রকেট সিস্টেম, আর্টিলারি রকেট, হাউইটজার কামান ও গোলাবারুদ।

যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোকে ঘিরে দ্বন্দ্বের জেরে সীমান্তে আড়াই মাস সেনা মোতায়েন রাখার পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই ঘোষণা দেওয়ার দু’দিন আগে ইউক্রেনের রুশ বিচ্ছিন্নতাবাদী নিয়ন্ত্রিত দুই অঞ্চল দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেন তিনি।

বৃহস্পতিবার ১২০তম দিন, বা চতুর্থ মাসে গড়িয়েছে ইউক্রেনে রুশ সেনাদের অভিযান। ইতোমধ্যে দেশটির দুই বন্দর শহর খেরসন ও মারিউপোল, দনেতস্ক প্রদেশের শহর লিয়াম, লুহানস্ক প্রদেশের প্রধান শহর সেভেরোদনেতস্ক এবং মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ জাপোরিজ্জিয়ার আংশিক এলাকার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে রুশ বাহিনীর হাতে।

২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ইউক্রেনকে মোট ৬১০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

তবে এক্ষেত্রে মার্কিন পক্ষ থেকে ইউক্রেনকে শর্ত দেওয়া হয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালানো যাবে না। কারণ, যদি এমন ঘটে— সেক্ষেত্রে যুদ্ধের ব্যাপ্তি আরও বাড়বে এবং রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে চলমান এই সংঘাত রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধে মোড় নেবে।

এদিকে, গত সপ্তাহে ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপকে আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়া অব্যাহত রাখে, সেক্ষেত্রে রুশ সেনারা এখনও ইউক্রেনের যেসব স্থাপনায় হামলা চালায়নি, সেসবকেও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হবে।