NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, মে ৭, ২০২৫ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
ভবিষ্যতে এমন হামলার চেষ্টা করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: উপদেষ্টা অর্ডিন্যান্স আকারে আইন করে বাংলাদেশ হেলথ সার্ভিস গঠনের সুপারিশ মালয়েশিয়া সফর স্থগিত করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হামজা-শামিত জুটি সম্ভাবনার আরেক ধাপ অগ্রগতি কোরবানির চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে কমিটি গঠনের নির্দেশ - প্রধান উপদেষ্টা মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ নেত্রীকে পুলিশে দিলো শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর ফ্লাইট বাতিলের হিড়িক তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতা চান না ট্রাম্প বাংলাদেশি হিসেবে রিশাদের রেকর্ডের দিনে লাহোরের হার ভারতীয় অনুরাগীদের মন্তব্যে হানিয়া বললেন ‘আমি কেঁদে ফেলব’
Logo
logo

জাপানে ৭ হাজারেরও বেশি নতুন দ্বীপ আবিষ্কার


খবর   প্রকাশিত:  ০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০১:১৪ এএম

>
জাপানে ৭ হাজারেরও বেশি নতুন দ্বীপ আবিষ্কার

সরকারি হিসেবে এতদিন জাপানের মোট দ্বীপের সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৮২৫টি; কিন্তু এই তালিকা এখন সংশোধন করতে হবে দেশটির সরকারকে। কারণ, সম্প্রতি দেশটির সমুদ্রসীমায় ৭ হাজার ২৭৩টি নতুন দ্বীপের সন্ধান পাওয়া গেছে।

সম্প্রতি দেশটির জিওস্পেশিয়্যাল ইনফরমেশন অথরিটি (জিএসআই) পরিচালিত ডিজিটাল ম্যাপিংয়ে উদ্ঘাটিত হয়েছে এই তথ্য।

চলতি সপ্তাহে এক বিবৃতিতে জিএসআইয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নতুন এই সংখ্যা এটাই প্রমাণ করে যে জরিপ প্রযুক্তিতে অগ্রগতি হয়েছে এবং গণনার জন্য ব্যবহৃত মানচিত্রের বিশদ প্রতিফলন হয়েছে। তবে এতে  জাপানের দখলে থাকা ভূমির সামগ্রিক অঞ্চল পরিবর্তন হয়নি।

৩৬ বছর আগে, ১৯৮৭ সালে জাপান কোস্টগার্ডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, দেশটিতে মোট ৬ হাজার ৮৫২টি দ্বীপ আছে। এতদিন পর্যন্ত এই সংখ্যায় সরকারিভাবে ব্যাবহৃত হয়ে আসছিল দেশটিতে।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে, সমুদ্রের বুকে ভেসে ওঠা কোনো ভূখণ্ডের আয়তন ন্যূনতম ১০০ বর্গফুট বা ৩৩০ মিটার হলেই সেটিকে দ্বীপ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। জাপানে নতুন আবিষ্কৃত সবগুলো দ্বীপের আয়তন আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে স্বীকৃত ন্যূনতম আয়তনের চেয়ে বেশি বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে জিএসআই।

সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, কৃত্রিমভাবে পুনরুদ্ধার করা কোনো ভূমিকে গণনায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি।

জাপানের আশপাশের দ্বীপগুলো দীর্ঘদিন বেশ কিছু আঞ্চলিক বিরোধের কেন্দ্রে রয়েছে। রাশিয়ার দখলে থাকা দক্ষিণ কুরিল দ্বীপপুঞ্জকে জাপান নিজেদের বলে দাবি করে আসছে। এমনটি এই দ্বীপপুঞ্চকে রাজধানী টোকিওর উত্তরাঞ্চল বলেও বেশ কয়েকবার উল্লেখ করেছে জাপানের বিভিন্ন সরকার।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে জাপানের থেকে দক্ষিণ কুরিল দ্বীপপুঞ্জের দখল নেয় সোভিয়েত সেনারা।

এছাড়া পূর্ব চীন সাগরের জনমানবহীন সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে চীনের সঙ্গে বিরোধ আছে জাপানের। দ্বীপটি বর্তমানে জাপানের নিয়ন্ত্রণে আছে, তবে চীন বরাবরই এই দ্বীপপুঞ্জকে নিজেদের বলে দাবি করে আসছে।

দ্বীপের দখল নিয়ে অপর প্রতিবেশী দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গেও বিরোধ আছে জাপানে। গত ৭০ বছর ধরে জাপান সাগরের একটি দ্বীপ নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বিবাদ চলছে জাপানের। দ্বীপটি সিউলে ডোকডো এবং টোকিওতে তাকেশিমা নামে পরিচিত।