NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, রবিবার, মে ১৮, ২০২৫ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
মাইক্রোক্রেডিট ব্যাংক স্থাপন এখন সময়ের দাবি: প্রধান উপদেষ্টা ভারত ও পাকিস্তানের পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কা ঠেকিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র -ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় বড় সামরিক অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই আরও গভীর তুরস্ক-পাকিস্তান সম্পর্ক রোনালদোকে ছাড়া খেলতে নেমে এবার বড় ধাক্কা আল নাসরের ফিরছে লাক্স সুপারস্টার প্রতিযোগিতা অভ্যুত্থানের ৯ মাস পরও বড় পরিবর্তন সহজ হচ্ছে না এনসিপির যুব সংগঠন ‘জাতীয় যুবশক্তি’ স্বাগত জানাতে মেলোনিকে দেখে হাঁটু গেড়ে বসলেন আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী দুই ঘণ্টাতেই শেষ রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা, মেলেনি সমাধান
Logo
logo

‘উচ্চ আদালতে সব রায় বাংলায় দেওয়া হোক’


খবর   প্রকাশিত:  ০২ জানুয়ারী, ২০২৪, ০১:২৩ পিএম

>
‘উচ্চ আদালতে সব রায় বাংলায় দেওয়া হোক’

বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম বলেছেন, আমরা বিদেশি জাজমেন্ট দেখে, পড়াশোনা করে ও গবেষণা করে এ দেশে রায় দিই। কিন্তু বাংলায় সেটা লেখা কঠিন ও সময় সাপেক্ষ। যদিও নিম্ন আদালতে বাংলায় রায় দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। উচ্চ আদালতেও অনেক রায় বাংলায় হচ্ছে। কোনো কোনো বিচারক নিয়মিত বাংলায় রায় দিচ্ছেন। আগামীতে উচ্চ আদালতেও সব বিচারক বাংলা রায় দেবেন বলে আমি আশাবাদী।

শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল আডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে ‌‘প্রযুক্তির উৎকর্ষে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি হুমকির মুখে’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমার চাওয়া সবার আগে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হোক, এরপর বাংলায় রায় দেওয়া যাবে। যদিও আমি প্রেস কাউন্সিলে এসে এখানে বাংলায় রায় দিচ্ছি। কারণ এখানে ইংরেজিতে দেওয়ার সুযোগ নেই। 

নিজামুল হক নাসিম বলেন, টিভি বিজ্ঞাপনে অনেক সংমিশ্রণ ইংরেজি শব্দ ব্যবহার হচ্ছে। যেমন একটি শ্যাম্পুর বিজ্ঞাপনে দেখলাম বলছে, চুল শাইনিং করে। এটা না বলে চুল উজ্জ্বল করে বলা যেত। এতে মানুষের কাছে আরও বোধগম্য হত এবং গ্রহণযোগ্যতা পেত। আবার অ-তে অবতার কেন হবে? আমাদের আদর্শলিপিতে যা ছিল সেটা থাকলেই ভালো হত। সেগুলো পরিবর্তন করে সাম্প্রতিক শব্দ ব্যবহারের প্রয়োজন ছিল না।

অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেন, গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ নামের একটি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল। কিন্তু প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার উন্নয়নে সরকার যে টাকা বরাদ্দ দিচ্ছে তা বুদ্ধিজীবীরা ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন। আসলে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।

অনুষ্ঠানের শুরুতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংবাদিক মিজানুর রহমান সোহেল।প্রবন্ধের ওপর আলোকপাত করেন সমাজবিশ্লেষক, সাহিত্য সমালোচক, রাষ্ট্রচিন্তাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক, জাতীয় জাদুঘরের কিউরেটর ড. শিহাব শাহরিয়ার, ফাইবার অ্যাট হোমের গভর্নমেন্ট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্সের প্রধান আব্বাস ফারুক প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।