NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, মে ৭, ২০২৫ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
ভবিষ্যতে এমন হামলার চেষ্টা করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: উপদেষ্টা অর্ডিন্যান্স আকারে আইন করে বাংলাদেশ হেলথ সার্ভিস গঠনের সুপারিশ মালয়েশিয়া সফর স্থগিত করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হামজা-শামিত জুটি সম্ভাবনার আরেক ধাপ অগ্রগতি কোরবানির চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে কমিটি গঠনের নির্দেশ - প্রধান উপদেষ্টা মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ নেত্রীকে পুলিশে দিলো শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর ফ্লাইট বাতিলের হিড়িক তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতা চান না ট্রাম্প বাংলাদেশি হিসেবে রিশাদের রেকর্ডের দিনে লাহোরের হার ভারতীয় অনুরাগীদের মন্তব্যে হানিয়া বললেন ‘আমি কেঁদে ফেলব’
Logo
logo

মিয়ানমারে জান্তার দুই বছর পূর্তির দিনে ভিন্নধর্মী ধর্মঘট


খবর   প্রকাশিত:  ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৬:২০ এএম

>
মিয়ানমারে জান্তার দুই বছর পূর্তির দিনে ভিন্নধর্মী ধর্মঘট

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘নীরব ধর্মঘট’ পালন করেছেন দেশটির গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকারী কর্মীরা। বুধবার তারা সাধারণ জনগণকে বাড়িতে অবস্থান এবং দোকান-পাট বন্ধ রেখে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আহ্বান জানান।

তাদের ভিন্নধর্মী এই নীরব প্রতিবাদের দিনে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া। সামরিক বাহিনী বলেছে, দেশটি ‘অস্বাভাবিক পরিস্থিতির’ মুখোমুখি হয়েছে। একই সঙ্গে চলতি বছর দেশটিতে জান্তা সরকার সাধারণ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় তা নিয়ে নতুন করে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

মিয়ানমারের প্রখ্যাত মানবাধিকার কর্মী তায়জার সান ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, সামরিক বাহিনী যে কারচুপির নির্বাচনের পরিকল্পনা করছে ‘জনগণ তা মেনে নেবে না’ বলে প্রমাণ করার জন্যই এই ধর্মঘট চলছে।

ভিন্নধর্মী প্রতিবাদের দিনে ইয়াঙ্গুনের বাণিজ্যিক কেন্দ্রসহ দেশটির প্রধান প্রধান বিভিন্ন শহরের রাস্তাঘাট জনমানবশূন্য দেখা যাচ্ছে।
 
দেশটির আরেক গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকারী থিনজার শুনলেই ই বলেছেন, সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিরোধ অব্যাহত রয়েছে; বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায়।

দেশটির রাজনৈতিক কারাবন্দিদের সহায়তা দানকারী সংস্থা অ্যাসিসটেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স বলছে, ভিন্নমত দমনে সামরিক জান্তার অভিযানে এখন পর্যন্ত দেশটিতে ২ হাজার ৯০০ জন নিহত হয়েছেন।

সেনাবাহিনী ক্ষমতায় আসার পর দেশটির ১৫ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন, পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৪০ হাজার ঘরবাড়ি, ৮০ লাখ শিশু স্কুলে যেতে পারছে না এবং জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, অন্তত দেড় কোটি মানুষ চরম খাদ্য সঙ্কটে ভুগছেন।

দেশটির বেশিরভাগ অংশে ভয়াবহ গৃহযুদ্ধ চলছে। অভ্যুত্থানের পরপরই প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে এক বৈঠকে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এখনও বিরোধীদের সাথে কোনও ধরনের আলোচনায় বসতে রাজি হয়নি।

বুধবার মিয়ানমারে স্বৈরশাসনের দুই বছরপূর্তির দিনে পশ্চিমা বিভিন্ন দেশের সরকার সেনা শাসক ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে জ্বালানি সরবরাহ করে এমন সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ব্রিটেন। 

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি বলছেন, এই নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য হচ্ছে সেনাবাহিনীর অর্থ, জ্বালানি, অস্ত্র ও সরঞ্জাম পাওয়ার সুযোগ কমিয়ে আনা। বিরোধী কণ্ঠের নৃশংস দমন-পীড়ন, সন্ত্রাসী বিমান হামলা এবং নির্লজ্জ মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য (সামরিক) জান্তাকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।

অস্ট্রেলিয়া মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে  প্রথম নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে, যার লক্ষ্য ১৬ ব্যক্তিকে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী’ করা। পাশাপাশি সামরিক সরকার-নিয়ন্ত্রিত দুটি প্রধান ব্যবসায়িক সংস্থা, যা সে দেশের অর্থনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করে আছে, তার বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে অস্ট্রেলিয়া।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য সেনা-অনুমোদিত মিয়ানমারের নির্বাচন কমিশন, ‘গভীরভাবে ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনের পরিকল্পনাকে এগিয়ে নিতে সরকার যাকে নিয়োগ করেছে।’