NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, মে ১৪, ২০২৫ | ৩১ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বিষয়টি পুরোপুরি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার -প্রেস সচিব শিগগিরই মিসরের সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সৌদি আরবের সঙ্গে ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ভারতের হামলায় ১১ সেনা নিহত, আহত ৭৮: পাকিস্তান আইএসপিআর কেন দাম কমে গেছে সুপারস্টার নয়নতারার পর্দা নামলো সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগের, বিজয়ী গিগাবাইট টাইটানস সরকারপ্রধান হিসেবে প্রথমবার চট্টগ্রাম যাচ্ছেন ড. ইউনূস ট্রাম্পের সঙ্গে সৌদি প্রিন্সের বৈঠক শেষ জীবিত মার্কিন জিম্মিকে মুক্তি দিলো হামাস সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই সেমিফাইনালে বাংলাদেশ
Logo
logo

‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ থেকে কী পাবে কংগ্রেস


খবর   প্রকাশিত:  ১৭ মার্চ, ২০২৫, ০৫:৫৪ এএম

>
‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ থেকে কী পাবে কংগ্রেস

তৃণমূল স্তরে কর্মীদের মধ্যে সংযোগ ও জনসাধারণের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’। 

দীর্ঘ ৩ হাজার ৫৭০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ১২টি রাজ্য অতিক্রম করে এই লংমার্চ শেষ হবে সর্ব-উত্তরের রাজ্য কাশ্মিরের শ্রীনগরে গিয়ে। 

তিন হাজার কিলোমিটার রাস্তা পেরিয়ে কংগ্রেস সমর্থকরা এখন রয়েছেন উত্তর প্রদেশে। কংগ্রেস নেতারা মানছেন, দক্ষিণের মতো উত্তরেও ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় অপ্রত্যাশিত সাড়া মিলেছে। কিন্তু ভোটের রাজনীতিতে এর ফল কী হবে, তা নিয়ে তারা কেউই নিশ্চিত নন। 

হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রে রাহুল গান্ধী বলেছেন, কংগ্রেস হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশের মতো হিন্দি বলয়ের রাজ্যে সরকার গড়বে। কিন্তু তা নিয়ে তিনি মোটেই আগ্রহী নন। কংগ্রেস যে রাজ্যে সরকার গড়বে, সেখানে পাঁচ বছরে কংগ্রেস কী কাজ করছে, তা নিয়ে তিনি বেশি আগ্রহী। 

এই পদযাত্রা থেকে তিনি কী আশা করছেন, পদযাত্রা শেষ হওয়ার পরে তিনি কী করবেন— তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রাহুল বলেন, অর্জুন যখন মাছের চোখকে লক্ষ্য হিসেবে স্থির করেছিলেন, তখন কি উনি বলেছিলেন লক্ষ্যভেদের পরে কী করবেন? ভাগবত গীতাতেও এর উত্তর রয়েছে। তুমি তোমার কাজ করে যাও। যা ফল হওয়ার, তা হবে। 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তথা আরএসএস-কে নিশানা করে রাহুল বলেছেন, মোদি চান, তাকে সবাই পূজা করুক। আরএসএস-ও জোর করে পূজা চায়। তাই সমস্ত প্রতিষ্ঠান, সংবাদমাধ্যম দখল করে, ভয় তৈরি করে। মোদি তাই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন না। কিন্তু এই দেশ পূজারিদের দেশ নয়, এটা তপস্বীদের দেশ।

এদিকে বিজেপি নেতারাও নড়েচড়ে বসেছেন। যদিও এখনও তারা মনে করছেন, রাহুল-প্রিয়ঙ্কার কর্মসূচিতে বরাবরই ভিড় হয়। কিন্তু তাতে কংগ্রেসের নির্বাচনী বা রাজনৈতিক লাভ হয় না। বিজেপি-আরএসএসের ‘বিভাজন ও বিদ্বেষের রাজনীতি’-র বিরুদ্ধে লড়তে ভারত জোড়ো-র ডাক দিয়ে পদযাত্রাটা সঠিক রাজনৈতিক কৌশল কি না, তা নিয়ে কংগ্রেসের একাংশসহ বিরোধী শিবিরেই দ্বিমত রয়েছে।