NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, মে ৭, ২০২৫ | ২৪ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
ভবিষ্যতে এমন হামলার চেষ্টা করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: উপদেষ্টা অর্ডিন্যান্স আকারে আইন করে বাংলাদেশ হেলথ সার্ভিস গঠনের সুপারিশ মালয়েশিয়া সফর স্থগিত করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হামজা-শামিত জুটি সম্ভাবনার আরেক ধাপ অগ্রগতি কোরবানির চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে কমিটি গঠনের নির্দেশ - প্রধান উপদেষ্টা মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ নেত্রীকে পুলিশে দিলো শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর ফ্লাইট বাতিলের হিড়িক তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতা চান না ট্রাম্প বাংলাদেশি হিসেবে রিশাদের রেকর্ডের দিনে লাহোরের হার ভারতীয় অনুরাগীদের মন্তব্যে হানিয়া বললেন ‘আমি কেঁদে ফেলব’
Logo
logo

জাতিসংঘের কর্মকর্তাকে ইন্দোনেশিয়ার তলব


খবর   প্রকাশিত:  ১৬ মার্চ, ২০২৫, ০২:০৬ এএম

>
জাতিসংঘের কর্মকর্তাকে ইন্দোনেশিয়ার তলব

বৈবাহিক সম্পর্কের বাইরে অন্য কারও সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হওয়াকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করে ইন্দোনেশিয়ার সরকার নতুন যে আইন করেছে, সেই আইনের সমালোচনা করায় জাতিসংঘের এক কর্মকর্তাকে তলব করেছে দেশটির সরকার। জাতিসংঘের ওই কর্মকর্তা ইন্দোনেশিয়ার নতুন আইনকে নাগরিক স্বাধীনতার জন্য হুমকি বলে মন্তব্য করার পর সোমবার তাকে তলব করা হয়েছে।

গত সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ার পার্লামেন্টে ফৌজদারি আইনের সংশোধনী প্রস্তাব পাস হয়েছে। দেশটির কর্মকর্তারা বলছেন, বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে ‘ইন্দোনেশীয় মূল্যবোধ’ সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে নতুন এই আইন করা হয়েছে। 

সংশোধিত আইনের ফলে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ ইন্দোনেশিয়ায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা এবং মানবাধিকারের অবক্ষয় ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।

ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তেউকু ফাইজাস্যাহ বলেছেন, এই মন্তব্যের বিষয়ে মন্ত্রণালয় জাকার্তায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী ভ্যালেরি জুলিয়ান্ডকে তলব করেছে। নতুন আইন নিয়ে ভুল ধারণা প্রকাশের আগে সরকারের সাথে সংস্থাটির পরামর্শ করা উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তেউকু বলেন, অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদের মতো তাদেরও পরামর্শ করা উচিত ছিল। আমরা আশা করছি, তারা মতামত প্রকাশে তাড়াহুড়ো করবেন না। বিশেষ করে যখন তাদের কাছে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পর্যাপ্ত তথ্য নেই। তবে জাতিসংঘের কর্মকর্তা ভ্যালেরি জুলিয়ান্ড তলবের বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলেও কোনও সাড়া দেননি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

ইন্দোনেশিয়ার পার্লামেন্টে গত মঙ্গলবার পাস হওয়া নতুন এই আইনের সমালোচকরা বলেছেন, এটি দেশের মানুষের স্বাধীনতার ওপর এক ধরনের আঘাত। তবে নতুন ফৌজদারি এই আইন আগামী তিন বছর কার্যকর হবে না বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। একই আইনে দেশটির প্রেসিডেন্টকে অপমান এবং রাষ্ট্রীয় মতাদর্শের বিপরীত মতামত প্রকাশের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

আইনটি ইন্দোনেশীয় নাগরিক এবং দেশটিতে বসবাসরত বিদেশি— উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে বলে জানানো হয়েছে। এতে বেশ কয়েকটি ‘নৈতিকতা’ আইনও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আইনে অবিবাহিত দম্পতিদের একসাথে বসবাস এবং যৌন সম্পর্ক স্থাপনকে ‘অবৈধ’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের জাকার্তা-ভিত্তিক গবেষক অ্যান্দ্রিয়াস হারসানো বলেছেন, ইন্দোনেশিয়ায় লাখ লাখ দম্পতি আছেন; যাদের বিয়ের সনদ নেই। বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের আদিবাসী অথবা মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজনের মাঝে এই চর্চা বেশি রয়েছে। কারণ তারা নির্দিষ্ট কিছু ধর্মীয় আচারের মাধ্যমে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন।