NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, মে ৭, ২০২৫ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
ভবিষ্যতে এমন হামলার চেষ্টা করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: উপদেষ্টা অর্ডিন্যান্স আকারে আইন করে বাংলাদেশ হেলথ সার্ভিস গঠনের সুপারিশ মালয়েশিয়া সফর স্থগিত করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হামজা-শামিত জুটি সম্ভাবনার আরেক ধাপ অগ্রগতি কোরবানির চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে কমিটি গঠনের নির্দেশ - প্রধান উপদেষ্টা মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ নেত্রীকে পুলিশে দিলো শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর ফ্লাইট বাতিলের হিড়িক তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতা চান না ট্রাম্প বাংলাদেশি হিসেবে রিশাদের রেকর্ডের দিনে লাহোরের হার ভারতীয় অনুরাগীদের মন্তব্যে হানিয়া বললেন ‘আমি কেঁদে ফেলব’
Logo
logo

সংবাদ এড়িয়ে চলা মানুষ বাড়ছে, কমছে আস্থাও


খবর   প্রকাশিত:  ১২ জানুয়ারী, ২০২৪, ১১:১৩ এএম

সংবাদ এড়িয়ে চলা মানুষ বাড়ছে, কমছে আস্থাও

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: বেছে বেছে গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে না চাওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। সচেতনভাবেই তারা সেসব খবর এড়িয়ে যাচ্ছে। সংবাদ মাধ্যমের প্রতি তাদের আস্থাও দিন দিন কমছে। মঙ্গলবার প্রকাশিত বার্ষিক ডিজিটাল নিউজ রিপোর্টে এ তথ্য উঠে এসেছে।

সেখানে দেখা যায়, কোভিড-১৯ মহামারী, ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসন বা জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়া বিষয়ক খবর বেশিরভাগ মানুষই এখন আর জানতে চায় না। এসব খবর এড়িয়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই।

রয়টার্স ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব জার্নালিজম ওই জরিপ পরিচালনা করে। জরিপে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ মানুষই বলেছেন, তারা সংবাদ পড়েন। তবে তাদের ৩৮ শতাংশ বলেছেন, প্রায়ই কিংবা মাঝে মাঝে তারা সংবাদ এড়িয়েও যান। ২০১৭ সালে এ ধরনের মানুষের সংখ্যা ছিল ২৯ শতাংশ। বিশেষ করে ৩৫ বছরের কম বয়সী প্রায় ৩৬ শতাংশই বলেছেন, সংবাদ তাদের মনের উপর চাপ সৃষ্টি করে। মানসিকভাবে তারা দুর্বল ‍অনুভব করেন।

সংবাদের প্রতি মানুষের আস্থাও কমছে। যুক্তরাষ্ট্রের মানুষদের সংবাদের প্রতি আস্থা সবচেয়ে কম। জরিপে অংশ নেয়া মাত্র ৪২ শতাংশ মানুষ বেশিরভাগ সময় অধিকাংশ খবরে আস্থা রাখার কথা বলেছেন। জরিপ চালানো দেশগুলোর প্রায় অর্ধেকেই সংবাদের প্রতি মানুষের আস্থা কমেছে। কেবল সাতটি দেশে বেড়েছে। অনলাইনে মোট ৪৬টি ভোক্তা অঞ্চলে ৯৩ ‍হাজার ৪৩২ জন এই জরিপে অংশ নেন।

প্রতিবেদনে রয়টার্স ইন্সটিটিউটের পরিচালক রাসমুস ক্লেইস নিয়েলসেন লেখেন, ‘‘বেশিরভাগ মানুষ সংবাদমাধ্যমকে অযৌক্তিক রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর বিষয় বলে মনে করে। কেবল অল্পসংখ্যক মনে করেন, সংবাদমাধ্যমগুলো নিজেদের বাণিজ্যিক স্বার্থের চেয়ে সমাজের জন্য যেটা সবচেয়ে ভাল, সেটি প্রকাশের ওপর জোর দিয়ে থাকে।” নামীদামি সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে তরুণদের যোগাযোগ কমে যাচ্ছে। বরং টিকটকের মত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্ল্যার্টফর্ম থেকে খবর সংগ্রহ করা তরুণের সংখ্যা বাড়ছে।

প্রতি সপ্তাহে ১৮-২৪ বছর বয়সী পাঠকদের ৭৮ শতাংশই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর জড়ো করে প্রকাশ করা ওয়েবসাইট, সার্চ ইঞ্জিন বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সংবাদ পড়ে থাকেন। এই বয়সের ৪০ শতাংশই প্রতি সপ্তাহে টিকটক ব্যবহার করেন। তাদের ১৫ শতাংশ বলেছেন, সংবাদ খুঁজে পেতে, আলোচনা করতে এবং শেয়ার করতে তারা টিকটক ব্যবহার করেন।

অর্থ খরচ করে অনলাইনের সংবাদ পড়া মানুষের সংখ্যা আগের মত আর বাড়ছে না বলেও প্রতিবেদনে উঠে এসছে। আর যারা এখনও অর্থ খরচ করে অনলাইনে সংবাদ পড়েন তাদের একটি বড় অংশই হাতেগোণা কয়েকটি জাতীয় নামীদামি প্রতিষ্ঠানের দিকে ধাবিত হন। যে ২০টি দেশে অর্থ খরচ করে সংবাদ পড়ার ব্যাপক প্রচলন আছে, জরিপে অংশ নেওয়া তাদের ১৭ শতাংশ জানিয়েছেন, তারা অনলাইনে সংবাদ পড়তে অর্থ খরচ করেন। আগের বছরও এই সংখ্যাটা একই ছিল। আর স্থানীয় খবরের জন্য অর্থ খরচ বাজার ভেদে ভিন্ন।