NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, মে ৭, ২০২৫ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
ভবিষ্যতে এমন হামলার চেষ্টা করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: উপদেষ্টা অর্ডিন্যান্স আকারে আইন করে বাংলাদেশ হেলথ সার্ভিস গঠনের সুপারিশ মালয়েশিয়া সফর স্থগিত করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হামজা-শামিত জুটি সম্ভাবনার আরেক ধাপ অগ্রগতি কোরবানির চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে কমিটি গঠনের নির্দেশ - প্রধান উপদেষ্টা মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ নেত্রীকে পুলিশে দিলো শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর ফ্লাইট বাতিলের হিড়িক তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতা চান না ট্রাম্প বাংলাদেশি হিসেবে রিশাদের রেকর্ডের দিনে লাহোরের হার ভারতীয় অনুরাগীদের মন্তব্যে হানিয়া বললেন ‘আমি কেঁদে ফেলব’
Logo
logo

২০২১ সালে পরমাণু কর্মসূচিতে উ. কোরিয়ার খরচ ৬৪২ মিলিয়ন ডলার


খবর   প্রকাশিত:  ১৩ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৩:৪৫ এএম

>
২০২১ সালে পরমাণু কর্মসূচিতে উ. কোরিয়ার খরচ ৬৪২ মিলিয়ন ডলার

উত্তর কোরিয়া গত বছর তার পারমাণবিক কর্মসূচিতে ৬৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করেছে। পরমাণু অস্ত্র ও পারমাণবিক কর্মসূচীর বিরোধী কর্মীদের প্রকাশিত একটি রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে।

এদিকে করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাব এবং চলমান অর্থনৈতিক সংকটের সাথে লড়াই করেও পিয়ংইয়ং আবারও নতুন একটি অস্ত্র পরীক্ষা করার জন্য প্রস্তুত বলেও জানানো হয়েছে ওই রিপোর্টে। বুধবার (১৫ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থাটি বলছে, পারমাণবিক কর্মসূচিতে উত্তর কোরিয়ার ব্যয়ের পরিমাণ বা দেশটির পরমাণু অস্ত্রের আকার সম্পর্কে কোনো নিশ্চিত তথ্য নেই। ২০০৬ সাল থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি কমপক্ষে ছয়টি পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়েছে এবং ২০১৭ সালের পর গত পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো পুনরায় পরীক্ষা শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার প্রকাশিত বৈশ্বিক পারমাণবিক অস্ত্র ব্যয় সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনে সুইজারল্যান্ডের জেনেভা-ভিত্তিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু অ্যাবোলিশ নিউক্লিয়ার ওয়েপন (আইসিএএন) জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া তার মোট জাতীয় আয়ের (জিএনআই) প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সামরিক ও পারমাণবিক অস্ত্রের ওপর এবং একইসঙ্গে সামরিক বাজেটের প্রায় ৬ শতাংশ পারমাণবিক অস্ত্রের ওপর খরচ করে থাকে বলে ধারণা করা হয়। আর এর ওপর ভিত্তি করেই পারমাণবিক কর্মসূচিতে দেশটির ব্যয়ের অনুমান করছে তারা।

রয়টার্স বলছে, আইসিএএন’র রিপোর্টে বিশ্বের পারমাণবিক শক্তিধর ৯টি দেশের এই খাতে ব্যয়ের ওপর হিসাব তুলে ধরা হয়েছে। এই ৯টি দেশের মধ্যে পারমাণবিক কর্মসূচিতে উত্তর কোরিয়ার ব্যয়ই সবচেয়ে কম। এমনকি তালিকায় উত্তর কোরিয়ার ওপরে থাকা পাকিস্তানের তুলনায় কিম জং উনের দেশের পারমাণবিক কর্মসূচিতে খরচ প্রায় অর্ধেক। অর্থাৎ এই কর্মসূচিতে পাকিস্তানের প্রায় অর্ধেক ব্যয় করেছে উত্তর কোরিয়া।

অবশ্য পারমাণবিক অস্ত্র এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়নের জন্য উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে এই নিষেধাজ্ঞাকে আন্তর্জাতিক রূপ দিতেও বৈশ্বিক প্রচারণার নেতৃত্ব দেওয়া ওয়াশিংটন অবশ্য একই কারণে পিয়ংইয়ংয়ের সমালোচনাও করে আসছে।

মূলত তীব্র খাদ্য ঘাটতি এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও সামরিক খাতে কোটি কোটি ডলার ব্যয় করার জন্য উত্তর কোরিয়ার সমালোচনা করে থাকে দেশটি।

উত্তর কোরিয়া অবশ্য দাবি করছে যে, আত্মরক্ষার জন্য পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করার সার্বভৌম অধিকার তাদের রয়েছে এবং আন্তর্জাতিক হুমকির মুখে থাকা দেশকে রক্ষা করার জন্য সেসব অস্ত্র পিয়ংইয়ংয়ের প্রয়োজন।

তবে করোনা মহামারি চলাকালীন পিয়ংইয়ং তার পারমাণবিক কর্মসূচির পেছনে তহবিল বরাদ্দ কমিয়েছে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়।

চলতি সপ্তাহে প্রকাশিত একটি বার্ষিক প্রতিবেদনে স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই)-এর ধারণা, উত্তর কোরিয়ার হাতে ২০টি পর্যন্ত ওয়ারহেড রয়েছে এবং সম্ভবত প্রায় ৪৫-৫৫টি পারমাণবিক ডিভাইসের জন্য পর্যাপ্ত উপাদান রয়েছে।

এসআইপিআরআই বলেছে, ‘উত্তর কোরিয়ার সামরিক পারমাণবিক কর্মসূচি দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।’