NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, মে ৭, ২০২৫ | ২৪ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
ভবিষ্যতে এমন হামলার চেষ্টা করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: উপদেষ্টা অর্ডিন্যান্স আকারে আইন করে বাংলাদেশ হেলথ সার্ভিস গঠনের সুপারিশ মালয়েশিয়া সফর স্থগিত করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হামজা-শামিত জুটি সম্ভাবনার আরেক ধাপ অগ্রগতি কোরবানির চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে কমিটি গঠনের নির্দেশ - প্রধান উপদেষ্টা মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ নেত্রীকে পুলিশে দিলো শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর ফ্লাইট বাতিলের হিড়িক তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতা চান না ট্রাম্প বাংলাদেশি হিসেবে রিশাদের রেকর্ডের দিনে লাহোরের হার ভারতীয় অনুরাগীদের মন্তব্যে হানিয়া বললেন ‘আমি কেঁদে ফেলব’
Logo
logo

নেপালে ধর্ষণ আইন সংস্কারের দাবি


খবর   প্রকাশিত:  ১২ জানুয়ারী, ২০২৪, ১১:২০ এএম

>
নেপালে ধর্ষণ আইন সংস্কারের দাবি

২৪ বছর বয়সী এক নেপালি মডেল অভিযোগ করেছেন আট বছর আগে এক সুন্দরী প্রতিযোগীতার আয়োজকরা মাদক সেবন করিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন এবং ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করে তা দিয়ে পরে ব্ল্যাকমেইলও করা হয়।  

এই অভিযোগ ওঠার পর দেশটিতে ধর্ষণ আইন সংস্কারের দাবি উঠেছে। কারণ নেপালের আইনে ধর্ষণের ঘটনার এক বছরের মধ্যে অভিযোগ জানাতে হয়, এক বছর পেরিয়ে গেলে কার্যত ধর্ষণের অভিযোগ তোলার সুযোগই থাকে না। 

আর সে কারণেই ওই মডেল বারবার অনুরোধ করলেও পুলিশ ধর্ষণের অভিযোগ আমলে না নিয়ে কথিত ধর্ষকদের বিরুদ্ধে স্রেফ মানব পাচার এবং অপহরণের মামলা নিয়েছে।  

আইন সংস্কারের পাশপাশি ধর্ষকদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার দাবিও জানানো হয়েছে। 

দক্ষিণ এশিয়ার বাকি সব দেশের মতো নেপালেও ধর্ষণের শিকার নারী-শিশুদের বিচার প্রাপ্তির হার খুব নগণ্য। ২০২১ সালের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সারা দেশে যত ধর্ষণের ঘটনা ঘটে, তার সামান্যই প্রকাশিত হয়, মামলা হয় আরও কম। প্রতিবেদনে বলা হয়, মোট মামলার অন্তত দুই তৃতীয়াংশের ক্ষেত্রেই অপরাধীর কোনো শাস্তি হয় না। 

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ নেপাল সরকারের প্রতি ধর্ষণের আইনকে ‘আন্তর্জাতিক মানে’ উন্নীত করা দাবি জানায়। 

গত সপ্তাহে নেপালের নারী আইনজীবীরাও ধর্ষণ আইন থেকে এক বছরের ‘শর্ত’ সরিয়ে নেওয়ার দাবি তোলেন। সুপ্রিম কোর্টকে তারা বলেন, এক বছরের মধ্যে অভিযোগ করতে হবে, দেরি হলে ধর্ষণের অভিযোগ জানানোর সুযোগ থাকবে না- এমন বিধান বাতিল করতে হবে, কারণ, এর মাধ্যমে নারী এবং শিশুদের সুবিচার প্রাপ্তির সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুন্ন হচ্ছে।