NYC Sightseeing Pass
Logo
logo

তিন বাহিনীকে সতর্ক থাকতে বললেন প্রধানমন্ত্রী


খবর   প্রকাশিত:  ১৩ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৪:১৬ এএম

তিন বাহিনীকে সতর্ক থাকতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগে বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা রহস্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আজ বুধবার (১৫ জুন) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ)-এর ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সরকার প্রধান বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে একটা মিথ্যা অপবাদ আমাদের দিয়েছিল। দুর্ভাগ্য, আমাদের একজন স্বনামধন্য মানুষ, যাকে আমি সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা দিয়েছিলাম। সেই ড. ইউনূস বেইমানি করেছেন। গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদে থাকতে না পেরে তিনি একাজ করেছেন। তিনি তার বন্ধু তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের স্বামী ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে তিন লাখ ডলার ডোনেশন দিয়েছিলেন। হিলারি আমাকে ফোনও করেন। আমার কাছে ধর্ণা দেন। তাকে আমি আইনের কথা বলেছি। বিশ্ব ব্যাংকের কাছে বার বার মেইল পাঠান, দুর্নীতি হয়েছে বলা হয়। আমি বলেছিলাম—দুর্নীতির প্রমাণ দিতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম যে, এটা প্রমাণ করতে হবে। পরে এটা ভূয়া প্রমাণ হয়েছে। কিন্তু ইউনূসের প্ররোচনায় বিশ্ব ব্যাংক অর্থায়ন থেকে সরে দাঁড়ায়। আমরা বলেছিলাম, নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করব, করেছি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নিরাপত্তার কাজে যারা নিয়োজিত, তাদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি নিজেও তো গুলি ও বোমার মুখে পড়েছি। আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়েছে। হয়ত আল্লাহ আমাকে দিয়ে কোনো কাজ করাবেন, এ জন্য বাঁচিয়ে রেখেছেন। দেশ অভিশাপমুক্ত যাতে হয়, সেই ব্যবস্থাটাই নিয়েছিলাম। যার কারণে বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীতে নারী সদস্য নিয়োগ আমরা শুরু করি। পুলিশে নারী সদস্য নিয়োগ জাতির পিতাই শুরু করেছেন। আমরা দেশটাকে সেভাবে গড়ে তুলতে চাই। আমরা ভৌগলিক সীমারেখায় হয়তো ছোট, কিন্তু জনসংখ্যায় বড়। আমরা বড় হয়ে চলব। বিশ্বে মর্যাদা নিয়ে চলব। আজকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। এই মর্যাদা অক্ষুণ্ন রেখে এবং সেটা বাস্তাবায়ন করে এগিয়ে যাব, এটাই আমাদের লক্ষ্য।

তিনি বলেন, এসএসএফকে যতটুকু পেরেছি আধুনিক করেছি। অন্যান্য বাহিনীকেও আধুনিক করার পদক্ষেপ নিয়েছি। প্রত্যেকটি বাহিনী জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস দমনে দায়িত্ব পালন করেছে। যার কারণে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। প্রত্যেককেই এ ব্যাপারে সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে। প্রযুক্তি যেমন উন্নয়নের দ্বার উন্মোচন করেছে, তেমনি যারা সন্ত্রাস ও অপকর্মে জড়িত তাদেরও সুযোগ করে দেয়।

নানা মেগা প্রজেক্টের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, সব প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিতে হবে। সব বাহিনী প্রধানকে এই উদ্যোগ নিতে হবে।