NYC Sightseeing Pass
Logo
logo

য়েমেনগামী ‘বিস্ফোরকবাহী নৌযান’ ডুবিয়ে দিল যুক্তরাষ্ট্র


খবর   প্রকাশিত:  ০২ জানুয়ারী, ২০২৪, ১২:১৪ পিএম

>
য়েমেনগামী ‘বিস্ফোরকবাহী নৌযান’ ডুবিয়ে দিল যুক্তরাষ্ট্র

মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ইয়েমেনগামী একটি নৌযান ডুবিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই নৌযানটি ইরান থেকে ইয়েমেন যাচ্ছিল এবং পথিমধ্যে এটি আটকের পর ডুবিয়ে দেয় মার্কিন নৌ বাহিনী।

নৌযানটি বিস্ফোরক তৈরির উপকরণ নিয়ে ইয়েমেন যাচ্ছিল বলে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদেন জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ।

যুক্তরাষ্ট্রের নৌ বাহিনীর দাবি, ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের কাছে এসব বিস্ফোরক পাঠানো হচ্ছিল। ইয়েমেনে সরকার ও হুথি বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই ইরান সশস্ত্র দলটিকে সহায়তা করে আসছে। যদিও সহায়তার বিষয়টি ইরান সবসময় অস্বীকার করে থাকে।

ওমান উপসাগরে দায়িত্বপালনরত যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম নৌবহর মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইরান থেকে ‘বিপুল পরিমাণ’ বিস্ফোরক উপকরণ নিয়ে যাওয়ার সময় তারা নৌযানটি আটক করে।

এরপর নৌযানটিতে ৭০ টন অ্যামোনিয়াম পারক্লোরেট পাওয়া যায়। সাধারণত রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্রের জ্বালানি এবং বিস্ফোরক তৈরিতে এ উপাদান ব্যবহার করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের নৌ বাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ডের কমান্ডার ভাইস অ্যাডমিরাল ব্র্যাড কুপার বলেছেন, ‘এগুলো বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উপাদান। আকারের ওপর ভিত্তি করে এসব বিস্ফোরক দিয়ে কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্রের জ্বালানি তৈরি সম্ভব। ইরান থেকে অবৈধ প্রাণঘাতী অস্ত্রের চালান লুকায়িত থাকে না। এটি দায়িত্বজ্ঞানহীন, বিপজ্জনক এবং এসব অস্ত্রের কারণে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত এবং অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়।’

এদিকে এ অভিযোগের জবাবে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি ইরান।

আটক নৌযানটিতে ইয়েমেনের চারজন ক্রু ছিলেন। তাছাড়া এটিতে ১০০টন ইউরিয়া সারও ছিল। কৃষিকাজের পাশাপাশি ইউরিয়া বিস্ফোরক তৈরিতেও কাজে লাগে।

নৌযানটি সাগরে চলমান বাণিজ্য নৌযানগুলোর জন্য বিপদের কারণে হতে পারে— এ যুক্তিতে গত রোববার এটি ওমান সাগরে ডুবিয়ে দেওয়া হয়। আর আটককৃত ক্রুদের ইয়েমেনের কোস্টগার্ডের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

গত ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম নৌবহর একটি কার্গো নৌযান আটক করেছিল। সেই নৌযানে অসংখ্য রাইফেল পাওয়া যায়। ধারণা করা হয়, হুথিদের জন্য ইরান থেকে এসেছিল ওই রাইফেলের চালান।