NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, মে ৭, ২০২৫ | ২৪ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
তরুণদের রাজনীতিতে আরও সক্রিয় হতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা ভারতের হামলাকে ‘লজ্জাজনক’ বললেন ট্রাম্প পাকিস্তানে ভারতের হামলায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ পাকিস্তানে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ৮, আহত ৩৫ শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে বার্সাকে হারিয়ে ফাইনালে ইন্টার মিলান শাহরুখ-প্রিয়াঙ্কার সেই সিনেমা ও সম্পর্ক আবারও আলোচনায় ভবিষ্যতে এমন হামলার চেষ্টা করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: উপদেষ্টা অর্ডিন্যান্স আকারে আইন করে বাংলাদেশ হেলথ সার্ভিস গঠনের সুপারিশ মালয়েশিয়া সফর স্থগিত করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হামজা-শামিত জুটি সম্ভাবনার আরেক ধাপ অগ্রগতি
Logo
logo

কেন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফলাফল জানতে এত সময় লাগছে?


খবর   প্রকাশিত:  ০৪ জুন, ২০২৪, ০৯:২৩ পিএম

>
কেন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফলাফল জানতে এত সময় লাগছে?

যুক্তরাষ্ট্রের সংসদ কংগ্রেসে মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হয় মধ্যবর্তী নির্বাচন। কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের ৪৩৫টি আসনের সবগুলোতে আর উচ্চকক্ষ সিনেটের ১০০টি আসনের মধ্যে ৩৫টি আসনে ভোটাভুটি হয়েছে। তবে তিনদিন পার হয়ে গেলেও এখনো চূড়ান্ত ফলাফল জানা যায়নি। এমনকি নির্বাচনী কর্মকর্তারা বলছেন চূড়ান্ত ফলাফল পেতে এক সপ্তাহও পার হতে পারে।

সংসদের নিম্নকক্ষের ফলাফলে অবশ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টি ২১১টি আসন পেয়ে এগিয়ে আছে। আরও ৭টি আসন পেলে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। অন্যদিকে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ১৯৪টি আসন পেয়েছে। অপরদিকে সিনেটে দুই দলই সমান ৪৮টি করে আসন পাওয়ায় ফলাফল ঝুলে আছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল পেতে কেন এত সময় লাগছে?

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ফলাফল পেতে দেরি হওয়ার কয়েকটি কারণ রয়েছে। সেগুলো হলো- প্রতিদ্বন্দ্বিদের মধ্যে ভোটের ব্যবধান খুব কম হওয়া। ব্যবধান কম হওয়ায় সেগুলোর ফলাফল আগে প্রকাশ করা যায় না।

অন্যটি হলো রানঅফ নির্বাচন। এবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনে জর্জিয়া প্রদেশের সিনেট আসনে রানঅফ নির্বাচন হবে। যদি কোনো একক প্রতিদ্বন্দ্বি ৫০ ভাগ বা তার বেশি ভোট পেতে ব্যর্থ হন তখন প্রথম ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া প্রতিদ্বন্দ্বিদের মধ্যে রানঅফ নির্বাচন হবে। জর্জিয়া এখন রানঅফ নির্বাচনের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।

নির্বাচনের ফলাফল দেরি হওয়ার আরও কারণ হলো-যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন পদ্ধতি কেন্দ্রীয় না। বিভিন্ন রাজ্য ভিন্ন নিয়ম-নীতি মেনে নির্বাচন আয়োজন করে। যার মধ্যে রয়েছে পোস্টাল ভোটের নিয়ম। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে পোস্টাল ভোট গণনার ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা নিয়ম রয়েছে।

পোস্টাল ভোট হলো সেই ভোট যেখানে ভোটারদের কাছে ব্যালট পেপার পাঠানো হয় এবং পোস্ট অফিসের মাধ্যমে সেগুলো আবার ফেরত আনা হয়। পোস্টাল ভোটের কার্যক্রম মূল নির্বাচনের আগেই শুরু হয়ে যায়।

এবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ৪ কোটি ২০ লাখ আমেরিকান পোস্টাল ভোট সিস্টেমের মাধ্যমে ভোট দিয়েছেন। তারা ৮ নভেম্বরের আগেই নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। আর এত সংখ্যক মানুষ পোস্টাল ভোট দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত ফলাফল পেতে বিলম্ব করছে। কারণ মূল নির্বাচনের দিনের আগে এ ভোটগুলো গণনা করা হয় না। কিছু কিছু রাজ্যে নির্বাচন শেষ হওয়ার পর পোস্টাল ভোট গণনা করার নিয়ম আছে। আবার ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে নির্বাচন দিনের পরের সাতদিন পর্যন্ত পোস্টাল ব্যালট গ্রহণের সুযোগ রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের এ বছর মধ্যবর্তী নির্বাচনে প্রায় ১২ কোটি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। যা মোট ভোটারের প্রায় ৪৭ ভাগ। ২০১৮ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে যে সংখ্যক ভোটার অংশ নিয়েছিলেন সেবারের তুলনায় এবার ভোটার উপস্থিত কম।

চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণায় দেরি হওয়ার আরেকটি কারণ হলো ভোট পুনর্গণনা করা। প্রতিদ্বন্দ্বিদের আপত্তি বা কারিগরি ত্রুটির কারণে আবারও ভোট গণনা করা হতে পারে। তাছাড়া রানঅফ নির্বাচনের বিষয়টিও ফলাফলে বিলম্ব হওয়ার অন্যতম কারণ।