NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, মে ৭, ২০২৫ | ২৪ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
ভবিষ্যতে এমন হামলার চেষ্টা করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: উপদেষ্টা অর্ডিন্যান্স আকারে আইন করে বাংলাদেশ হেলথ সার্ভিস গঠনের সুপারিশ মালয়েশিয়া সফর স্থগিত করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হামজা-শামিত জুটি সম্ভাবনার আরেক ধাপ অগ্রগতি কোরবানির চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে কমিটি গঠনের নির্দেশ - প্রধান উপদেষ্টা মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ নেত্রীকে পুলিশে দিলো শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর ফ্লাইট বাতিলের হিড়িক তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতা চান না ট্রাম্প বাংলাদেশি হিসেবে রিশাদের রেকর্ডের দিনে লাহোরের হার ভারতীয় অনুরাগীদের মন্তব্যে হানিয়া বললেন ‘আমি কেঁদে ফেলব’
Logo
logo

বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের কাছে ১৯শ কোটি টাকা পায় বিদ্যুৎ বিভাগ


খবর   প্রকাশিত:  ১১ নভেম্বর, ২০২৩, ০১:৩৫ এএম

>
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের কাছে ১৯শ কোটি টাকা পায় বিদ্যুৎ বিভাগ

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের কাছে বিদ্যুৎ বিভাগের পাওনা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৯৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এর মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছেই পাবে ৯০৫ কোটি ২১ লাখ টাকা। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মোজাফফর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। 

মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে এমপিদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন প্রতিমন্ত্রী। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

নসরুল হামিদ বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ এবং তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন সরকারি বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থাসমূহ নিয়মিতভাবে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করায় বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ বিল বকেয়া আছে। তবে তদারকি জোরদার করে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করায় বিগত কয়েক বছরে বিদ্যুৎ বিলের বকেয়ার পরিমাণ কমানো সম্ভব হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কাছে ৮৮ কোটি ৪৬ লাখ, জননিরাপত্তা বিভাগের কাছে ৬৪ কোটি ২২ লাখ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের কাছে ৬৩ কোটি ৬১ লাখ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের কাছে ৪৩ কোটি ৫৬ লাখ এবং স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে মন্ত্রণালয়ের পাওনা ৩৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।

বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া আদায়ে সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে জানান নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া কমানোর জন্য পর্যায়ক্রমে সব গ্রাহককে প্রি-পেইড/স্মার্ট মিটারের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫১ লক্ষ ৭ হাজার ৪৫২টি প্রি-পেইড/স্মার্ট মিটার স্থাপন করা হয়েছে এবং আগামী এক বছরের মধ্যে আরও ২০ লক্ষ প্রি-পেইড/স্মার্ট মিটার স্থাপন করা হবে।

সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে ২০২১-২২ অর্থবছরে বিদ্যুৎ খাতে ২৮ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হয়েছে। এর মধ্যে বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৯ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হয়েছে। 

তিন মেয়াদে ১৯ হাজার ৯৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত

সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রুমানা আলীর প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর গত তিন মেয়াদে এখন পর্যন্ত ১৯ হাজার ৯৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। গ্রিড, অফগ্রিড ও ক্যাপটিভসহ মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার ৭৩০ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আ ক ম সরওয়ার জাহানের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, দেশে বর্তমানে বছরে এলপিজি’র চাহিদা প্রায় ১৪ লক্ষ মেট্রিক টন। দেশে সরকারি পর্যায়ে উৎপাদন মাত্র ২ শতাংশ। বাকি চাহিদা বেসরকারি পর্যায়ে আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন কর্তৃক প্রতি মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে এলপিজি’র মূল্য, মার্কিন ডলারের বিনিময় হারের হ্রাস/বৃদ্ধি এবং মূল্য সংযোজন কর (মূসক) সমন্বয় করে দেশে বেসরকারি এলপিজি’র মূল্য সমন্বয় করা হয় বলে জানান তিনি।

আমদানি-নির্ভর হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে দাম না কমলে সরকারের ভর্তুকি ছাড়া দেশের বাজারে বেসরকারি এলপিজি’র মূল্য সাশ্রয়ী করার সুযোগ নেই বলে জানান জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী।