NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, রবিবার, মে ১১, ২০২৫ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

বলিভিয়ার প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ


খবর   প্রকাশিত:  ১২ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৮:৪৩ এএম

বলিভিয়ার প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ

ব্রাজিলে নিযুক্ত দক্ষিণ আমেরিকায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) লাপাজে অবস্থিত গ্র্যান্ড পিপলস হলে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট লুইস আলবার্তো আর্সে কাতাকোরার কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। রাষ্ট্রদূত ফয়জুননেসা ব্রাসিলিয়ায় অবস্থিত দূতাবাসে নিযুক্ত থেকে অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত হিসেবে বলিভিয়ার সমবর্তী দায়িত্ব পালন করবেন।

পরিচয়পত্র পেশের পর প্রেসিডেন্ট আলবার্তোর সঙ্গে রাষ্ট্রদূতের বৈঠক হয়। বৈঠকে রাষ্ট্রদূত ১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচন, গণহত্যা, গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধ ও ৩০ লাখ শহীদের রক্তে অর্জিত বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান প্রেসিডেন্ট আলবার্তোকে অবহিত করেন। লাতিন আমেরিকার কিংবদন্তি নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর বন্ধুত্ব ও ফিদেল কাস্ত্রো কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর হিমালয়সম তুলনা জেনে প্রেসিডেন্ট আলবার্তো আবেগতাড়িত হন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীর বিষয়ে অবগত হয়ে তিনি অত্যন্ত ব্যথিত হন।

রাষ্ট্রদূত ফয়জুননেসা বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ ও দূরদর্শী নেতৃত্বের বিভিন্ন অর্জন তুলে ধরেন। রাষ্ট্রদূত ওই সময় জাতিসংঘের বিভিন্ন উন্নয়ন ফোরামে বাংলাদেশ ও বলিভিয়ার সহযোগিতা তুলে ধরেন। রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা জানান। সে সময় বলিভিয়ার ভাইস মিনিস্টার ফর ফরেন অ্যাফেয়ার্স এরউইন ফ্রেডি মামানি মাচাকা উপস্থিত ছিলেন।

 

আর্থসামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব সাফল্যে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট অভিভূত হন। তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ও বলিভিয়া উন্নয়ন-সহযোগী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। রাষ্ট্রদূত বলিভিয়ার প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালে তিনি তা সাদরে গ্রহণ করেন এবং অনতিবিলম্বে বাংলাদেশ সফরের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।

বহুপাক্ষিক ফোরামে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ অংশীদার বলিভিয়ার সঙ্গে ভবিষ্যতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ও রাষ্ট্রদূত উভয়ই সম্মত হন। বিশেষ করে ওষুধ রপ্তানি, গার্মেন্টস ও নিটওয়্যার, প্লাস্টিক ও চামড়াজাত পণ্যে সম্ভাবনাময় বলিভিয়ার বাজার সম্প্রসারণে রাষ্ট্রদূত কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা বলিভিয়ার প্রেসিডেন্টকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ এবং বাংলাদেশের লোকশিল্পের নিদর্শন হিসেবে নকশিকাঁথা উপহার হিসেবে দেন।