NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, মে ৭, ২০২৫ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
ভবিষ্যতে এমন হামলার চেষ্টা করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: উপদেষ্টা অর্ডিন্যান্স আকারে আইন করে বাংলাদেশ হেলথ সার্ভিস গঠনের সুপারিশ মালয়েশিয়া সফর স্থগিত করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হামজা-শামিত জুটি সম্ভাবনার আরেক ধাপ অগ্রগতি কোরবানির চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে কমিটি গঠনের নির্দেশ - প্রধান উপদেষ্টা মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ নেত্রীকে পুলিশে দিলো শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর ফ্লাইট বাতিলের হিড়িক তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতা চান না ট্রাম্প বাংলাদেশি হিসেবে রিশাদের রেকর্ডের দিনে লাহোরের হার ভারতীয় অনুরাগীদের মন্তব্যে হানিয়া বললেন ‘আমি কেঁদে ফেলব’
Logo
logo

কানাডার নির্বাচনে ফের জয় পেয়েছে লিবারেল পার্টি


খবর   প্রকাশিত:  ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:০৪ এএম

কানাডার নির্বাচনে ফের জয় পেয়েছে লিবারেল পার্টি

কানাডায় জাতীয় নির্বাচনে ফের জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত করার হুমকির পর চলমান অস্থিরতার মধ্যেও জয় নিশ্চিত করেছে তারা। খবর আল জাজিরার।

দেশটির জাতীয় সম্প্রচারক সিবিসি এবং সিটিভি নিউজ সোমবার রাতে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি শীর্ষ পদ ধরে রাখবেন এবং ৩৪৩ সদস্যের পার্লামেন্টে তার দলের সদস্যরা সর্বাধিক আসনে জয়ের পথে রয়েছেন বলে আভাস পাওয়া গেছে।

 

তবে ট্রাম্পের হুমকির মুখে কানাডার পক্ষে নিজেকে একজন চ্যাম্পিয়ন হিসেবে উপস্থাপনকারী অর্থনীতিবিদ কার্নি কী সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠন করতে সক্ষম হবেন নাকি তাকে কোনো ছোট দলের সমর্থনের ওপর নির্ভর করতে হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

এর আগে স্থানীয় সময় সোমবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় নির্বাচনের ভোট শুরু হয়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, পুরোপুরি পাল্টে যাওয়া এক রাজনৈতিক পরিবেশের মধ্যে কানাডাবাসী তাদের নতুন সরকার নির্বাচন করছেন। কানাডার এই নির্বাচনকে অনেকেই সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন হিসেবে দেখছেন।

 

নির্বাচনের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের হুমকি ও কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ করার মন্তব্য কানাডার রাজনীতিতে প্রবল প্রভাব ফেলেছে। ট্রাম্পের হুমকির জেরে কানাডায় দেশপ্রেমের জোয়ার তৈরি হয়। এই আবহে লিবারেল পার্টির নেতা ও প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী মার্ক কার্নির জনপ্রিয়তা বেড়ে গেছে। রাজনীতিতে নবাগত কার্নি এর আগে কানাডা ও যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

ভোটের ঠিক আগের দিন, রোববার (২৭ এপ্রিল) ভ্যাঙ্কুভারে একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। জনসমাগমে গাড়ি চালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় ১১ জন নিহত ও অনেকে আহত হন। এই ঘটনার পর কার্নি তার নির্বাচনী প্রচার সাময়িক স্থগিত করেন। একইভাবে কনজারভেটিভ দলের প্রার্থী পিয়েরে পলিয়েভ্রেও তার প্রচারে এই ঘটনার প্রসঙ্গ তোলেন। যদিও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই দুর্ঘটনা ভোটারদের ভোটদানে নিরুৎসাহিত করবে না।নির্বাচনের প্রাক্কালে দুটি জরিপে লিবারেল পার্টিকে এগিয়ে থাকতে দেখা গেছে। ইপসোসের জরিপে দেখা গেছে, লিবারেল দল ৪২ শতাংশ জনসমর্থন পেয়েছে, যেখানে কনজারভেটিভ দল পেয়েছে ৩৮ শতাংশ। আরেক জরিপকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাংগাস রেইডের জরিপে লিবারেলরা ৪৪ শতাংশ ও কনজারভেটিভরা ৪০ শতাংশ সমর্থন পেয়েছে। জরিপের ফলাফলেও ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে, লিবারেল পার্টি টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে পারে।