NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, মে ৭, ২০২৫ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
ভবিষ্যতে এমন হামলার চেষ্টা করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: উপদেষ্টা অর্ডিন্যান্স আকারে আইন করে বাংলাদেশ হেলথ সার্ভিস গঠনের সুপারিশ মালয়েশিয়া সফর স্থগিত করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হামজা-শামিত জুটি সম্ভাবনার আরেক ধাপ অগ্রগতি কোরবানির চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে কমিটি গঠনের নির্দেশ - প্রধান উপদেষ্টা মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ নেত্রীকে পুলিশে দিলো শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর ফ্লাইট বাতিলের হিড়িক তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতা চান না ট্রাম্প বাংলাদেশি হিসেবে রিশাদের রেকর্ডের দিনে লাহোরের হার ভারতীয় অনুরাগীদের মন্তব্যে হানিয়া বললেন ‘আমি কেঁদে ফেলব’
Logo
logo

কক্সবাজারে ইসরায়েলি পণ্য রাখার অভিযোগে কেএফসিসহ ৫ রেস্তোরাঁয় ভাঙচুর


খবর   প্রকাশিত:  ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:৩৭ এএম

কক্সবাজারে ইসরায়েলি পণ্য রাখার অভিযোগে কেএফসিসহ ৫ রেস্তোরাঁয় ভাঙচুর

ফিলিস্তিনে বর্বর হামলার প্রতিবাদে ‘ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে কক্সবাজার শহরজুড়ে বিক্ষোভ করেছে সাধারণ জনতা। বিক্ষোভ মিছিল থেকে পর্যটন জোনে অবস্থিত কেএফসিসহ অন্তত পাঁচটি রেস্তোরাঁ ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরির শহীদ দৌলত ময়দান থেকে বের হওয়া বিক্ষোভ মিছিল হলিডে মোড় ঘুরে লাবণী হয়ে কলাতলী যায়। এসময় ভাঙচুর চালানো হয়।

 

কক্সবাজার রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ আলী বলেন, ফিলিস্তিনের প্রতি আমাদের সবসময় সংহতি রয়েছে। আজকের বিক্ষোভ মিছিলেও আমাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল। তবে, ইসরায়েলি পণ্য রাখার অজুহাতে কিছু উচ্ছৃঙ্খল লোক কেএফসি, পিৎজা হাটের পাশাপাশি কাঁচা লংকা, পানসি রেস্টুরেন্ট এবং মেরিন ফুড রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর চালায়। এসময় কাচ লেগে কয়েকজন পর্যটক আহত হন।

তিনি আরও বলেন, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনা কক্সবাজারের পর্যটনের জন্য অশনিসংকেত। আমরা ইসরায়েলের পণ্য যত সম্ভব বর্জন করছি। তারা যদি সাইনবোর্ড নামিয়ে ফেলে বলতো, তাহলে সুন্দর একটা সমাধান হতো। ভাঙচুর করে পর্যটকদের মাঝে একটা আতঙ্ক তৈরি করা হলো। আহতও হলো কয়েকজন। বিষয়টি প্রশাসনের তদারকি করা উচিত।’

 

কক্সবাজার শহরের পর্যটন জোনের সুগন্ধা লংবিচ এলাকায় তিনতলা ভবনের ওপর তলায় কেএফসি এবং দ্বিতীয় তলায় পিৎজা হাটের অবস্থান। ভাঙচুরের পর বেশকিছু কাচ ভেঙে পড়ায় বন্ধ রয়েছে পিৎজা হাট। তবে খোলা রয়েছে কেএফসি।

কক্সবাজার পিৎজা হাটের ইনচার্জ পারভেজ মিয়া বলেন, ‘মূলত কেএফসির ওপর মানুষের ক্ষোভ বেশি। তারা হঠাৎ মিছিল থেকে কেএফসি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল মারা শুরু করে। তবে কেএফসি ওপরের ফ্লোরে হওয়ার এগুলো এসে পড়ে পিৎজা হাটে। আমাদের বেশকিছু কাচ এবং যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা আপাতত রেস্তোরাঁ বন্ধ রেখেছি।’

কাঁচা লংকা রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার ফিরোজ আহমেদ বলেন, ‘রেস্তোরাঁর সাইনবোর্ডে সেভেন আপের বিজ্ঞাপন ছিল। এই অজুহাতে আমাদের রেস্তোরাঁয় ভাঙচুর চালানো হয়। আমরাও তো ফিলিস্তিনকে সাপোর্ট করি। আমাদের বললে আমরা সাইনবোর্ড সরিয়ে ফেলতাম। রেস্তোরাঁ ভাঙচুর কোনোভাবেই ফিলিস্তিনের পক্ষে সাপোর্ট প্রমাণ করে না।’

 

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস খান বলেন, পুলিশ মিছিলের আগে-পিছে ছিল। মিছিলের দৈর্ঘ্য বিশাল হওয়ায় মাঝখান থেকে কিছু অতি উৎসাহী লোকজন ইসরায়েলি পণ্য রাখার অভিযোগে কয়েকটি রেস্তোরাঁর পেপসির সাইনবোর্ড নামিয়ে ফেলে। কিছু ঢিল ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে মিছিলে উপস্থিত মুরুব্বিরা তাদের তাৎক্ষণিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন। এরপরও আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।