NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, মে ৭, ২০২৫ | ২৪ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
ভবিষ্যতে এমন হামলার চেষ্টা করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: উপদেষ্টা অর্ডিন্যান্স আকারে আইন করে বাংলাদেশ হেলথ সার্ভিস গঠনের সুপারিশ মালয়েশিয়া সফর স্থগিত করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হামজা-শামিত জুটি সম্ভাবনার আরেক ধাপ অগ্রগতি কোরবানির চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে কমিটি গঠনের নির্দেশ - প্রধান উপদেষ্টা মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ নেত্রীকে পুলিশে দিলো শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর ফ্লাইট বাতিলের হিড়িক তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতা চান না ট্রাম্প বাংলাদেশি হিসেবে রিশাদের রেকর্ডের দিনে লাহোরের হার ভারতীয় অনুরাগীদের মন্তব্যে হানিয়া বললেন ‘আমি কেঁদে ফেলব’
Logo
logo

ড্রোন-অ্যাপ দিয়ে যেভাবে হিজাববিহীন নারীদের ধরছে ইরান


খবর   প্রকাশিত:  ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:৩৩ এএম

ড্রোন-অ্যাপ দিয়ে যেভাবে হিজাববিহীন নারীদের ধরছে ইরান

ইরান নারীদের জন্য বাধ্যতামূলক হিজাব আইন কার্যকর করতে ব্যাপকভাবে প্রচেষ্টা বৃদ্ধি করেছে। পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে নজরদারির মাধ্যমে এই কঠোর পোশাক বিধি লঙ্ঘনকারীদের শাস্তি দিচ্ছে। সম্প্রতি জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ইরানের প্রযুক্তির ঈপর নির্ভরশীলতার উদ্বেগজনক পরিমাণ তুলে ধরা হয়েছে, যা নারীদের আচরণ নিয়ন্ত্রণ এবং নজরদারি করার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।

এই দমনমূলক কর্মকাণ্ডের মূল কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে ‘নাজের’ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, যা সরকারি সহায়তায় তৈরি একটি টুল।

এর মাধ্যমে নাগরিক ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী নারীদের হিজাব আইন লঙ্ঘনের জন্য অভিযোগ জানাতে পারে। এই অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহারকারীদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপলোড করার সুযোগ দেয়, যেমন গাড়ির নম্বর প্লেট, অবস্থান ও সময়। এসব তথ্য পরে অনলাইনে গাড়িগুলো ‘ফ্ল্যাগ’ করতে ও কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করতে ব্যবহার করা হয়।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাপ্লিকেশনটি গাড়ির নিবন্ধিত মালিককে একটি টেক্সট মেসেজ পাঠায়, তাদের বিধি লঙ্ঘনের জন্য সতর্ক করে এবং সতর্কতাগুলো উপেক্ষা করলে গাড়ি জব্দ করার হুমকি দেয়।

এই অত্যন্ত নজরদারি পদ্ধতিটি অ্যাম্বুল্যান্স, ট্যাক্সি ও পাবলিক ট্রান্সপোর্টে নারীদের লক্ষ্যবস্তু করার জন্য সম্প্রসারিত করা হয়েছে, যা তাদের স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন আরো ক্ষুণ্ণ করছে।

 


 

‘নাজের’ অ্যাপ্লিকেশনের পাশাপাশি ইরানি কর্তৃপক্ষ তেহরান ও দক্ষিণ ইরানে জনসমাগমস্থলে নজরদারি ও হিজাবের আনুগত্য নিশ্চিত করতে ড্রোন ব্যবহার করছে। তেহরানের আমিরকাবির বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশদ্বারে ফেসিয়াল রিকগনিশন সফটওয়্যারও ইনস্টল করা হয়েছে, যা নারী শিক্ষার্থীদের নজরদারি করে ও তাদের পোশাকবিধির প্রতি আনুগত্য নিশ্চিত করে।

জাতিসংঘ তাদের প্রতিবেদনে ইরানের পদ্ধতিগত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সমালোচনা করেছে, বিশেষ করে তাদের ভিন্নমত দমন এবং নারী ও কিশোরীদের লক্ষ্যবস্তু করার বিষয়টি তুলে ধরেছে।

প্রতিবেদনটি ইরানের বাধ্যতামূলক হিজাব আইনটির বিধ্বংসী প্রভাবের বিষয়টি তুলে ধরেছে, যার ফলে ব্যাপক বিক্ষোভের সৃষ্টি ও শত শত প্রাণহানি হয়েছে।

 

ইরানের খসড়া আইন ‘হিজাব ও সতীত্ব’ দেশের নারী ও কিশোরীদের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে। যদি এটি বাস্তবায়িত হয়, তবে আইনটি লঙ্ঘনকারীদের জন্য কঠোর শাস্তি থাকবে, যার মধ্যে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১২ হাজার মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ জরিমানা অন্তর্ভুক্ত। পাশাপাশি এই আইনটি ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীকে আরো শক্তিশালী করার সুযোগ দেবে, যা নারীদের আচরণ নিয়ন্ত্রণ এবং নজরদারি করতে প্রযুক্তি ও নজরদারি ব্যবহারের পরিমাণ বাড়াবে। এই আইনটি ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে একটি অভ্যন্তরীণ বিতর্কের পর স্থগিত করা হয়।

 

সূত্র : এনডিটিভি