NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, মে ৭, ২০২৫ | ২৪ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
ভবিষ্যতে এমন হামলার চেষ্টা করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: উপদেষ্টা অর্ডিন্যান্স আকারে আইন করে বাংলাদেশ হেলথ সার্ভিস গঠনের সুপারিশ মালয়েশিয়া সফর স্থগিত করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হামজা-শামিত জুটি সম্ভাবনার আরেক ধাপ অগ্রগতি কোরবানির চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে কমিটি গঠনের নির্দেশ - প্রধান উপদেষ্টা মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ নেত্রীকে পুলিশে দিলো শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর ফ্লাইট বাতিলের হিড়িক তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতা চান না ট্রাম্প বাংলাদেশি হিসেবে রিশাদের রেকর্ডের দিনে লাহোরের হার ভারতীয় অনুরাগীদের মন্তব্যে হানিয়া বললেন ‘আমি কেঁদে ফেলব’
Logo
logo

এবার ইন্দোনেশিয়ায় বাড়ছে জ্বালানির দাম


খবর   প্রকাশিত:  ১৪ মার্চ, ২০২৫, ০৫:৪১ পিএম

>
এবার ইন্দোনেশিয়ায় বাড়ছে জ্বালানির দাম

সরকারের তরফ থেকে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দেওয়া সত্ত্বেও ইন্দোনেশিয়ায় শিগগিরই বাড়তে যাচ্ছে সব ধরনের জ্বালানির দাম। দেশবাসীকে আসন্ন এ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার বিনিয়োগমন্ত্রী বাহলিল লাহাদালিয়া।

শুক্রবার রাজধানী জাকার্তায় এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের অর্থনীতির অবস্থা ভালো নয়। প্রতিদিনই সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে। বর্তমানে জ্বালানি খাতে আমরা ২৫ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছি, কিন্তু তারপরও অভ্যন্তরীণ বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।’

ইন্দোনেশিয়ার অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে জ্বালানির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতি বছর এ খাতে ৫০২ ট্রিলিয়ন রুপিহা (ইন্দোনেশীয় মুদ্রা) বা ৩৪ দশমিক ২২ মিলিয়ন ডলার ভর্তুকি দেয় সরকার। কিন্তু করোনা মহামারির ২ বছরে বিশ্বের উন্নয়নশীল অন্যান্য দেশের মতো ইন্দোনেশিয়ার অর্থনীতিও ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। সেই সঙ্গে ডলারের বিপরীতে ব্যাপকভাবে কমেছে রুপিহার দাম।

এ কারণে পূর্বের ধারা অনুযায়ী যদি ভর্তুকি অব্যাহত রাখা হয়, সেক্ষেত্রে দেশটির মুদ্রার বর্তমান মানদণ্ডে তার পরিমাণ ৬০০ ট্রিলিয়ন রুপিহায় উন্নীত করতে হবে।

কিন্তু ৫০২ ট্রিলিয়ন থেকে হঠাৎ করে প্রায় ১০০ ট্রিলিয়ন রুপিহা ভর্তুকি বাড়ানো হলে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার সরকারের একটি সূত্র।

শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি স্বীকার করে বাহলিল লাহাদালিয়া বলেন, ‘বর্তমানে যে পরিস্থিতি, তাতে ভর্তুকি আরও বাড়ানো তো দূর— দীর্ঘদিন যদি এই হার বজায় রাখলেও অর্থনৈতিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

‘জ্বালানির দাম বাড়ানো ছাড়া আপাতত আর কোনো পথ নেই। জনগণের উদ্দেশে সরকারের পক্ষ থেকে আমার আন্তরিক আহ্বান, আসুন আমরা আরেকবার দেশের অর্থনীতিকে পুনর্গঠনে ঐক্যবদ্ধ হই।’

ইন্দোনেশিয়ার জ্বালানির বাজারে সরকারি ও বেসরকারি— দুই ধরনের বিক্রেতা রয়েছে। ভর্তুকির কারণে সরকারি বিক্রয়কেন্দ্রগুলোতে অপেক্ষাকৃত কম দামে জ্বালানি বিক্রি হয়।

সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার অর্থমন্ত্রী শ্রী মুল্যানি ইন্দ্রবতী বৃহস্পতিবার সরকারি বিক্রয়কেন্দ্রগুলোতে জ্বালানি বিক্রি সীমিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

এদিকে জ্বালানির দাম বৃদ্ধির সরকারি এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন দেশটির অর্থনীতিবিদদের একাংশ। তাদের বক্তব্য— সরকার অর্থনীতির সংস্কার ও রুপিহার মান পুনরুদ্ধারের পরিবর্তে জনগণের ভোগান্তি বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছে।