NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, মে ৭, ২০২৫ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
ভবিষ্যতে এমন হামলার চেষ্টা করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: উপদেষ্টা অর্ডিন্যান্স আকারে আইন করে বাংলাদেশ হেলথ সার্ভিস গঠনের সুপারিশ মালয়েশিয়া সফর স্থগিত করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হামজা-শামিত জুটি সম্ভাবনার আরেক ধাপ অগ্রগতি কোরবানির চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে কমিটি গঠনের নির্দেশ - প্রধান উপদেষ্টা মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ নেত্রীকে পুলিশে দিলো শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর ফ্লাইট বাতিলের হিড়িক তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতা চান না ট্রাম্প বাংলাদেশি হিসেবে রিশাদের রেকর্ডের দিনে লাহোরের হার ভারতীয় অনুরাগীদের মন্তব্যে হানিয়া বললেন ‘আমি কেঁদে ফেলব’
Logo
logo

ইউক্রেনকে দেওয়া অর্থ ফেরত চায় আমেরিকা


খবর   প্রকাশিত:  ২২ মার্চ, ২০২৫, ১২:৪১ এএম

ইউক্রেনকে দেওয়া অর্থ ফেরত চায় আমেরিকা

রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে দেওয়া সহায়তার অর্থ ফেরত চেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনকে দেওয়া সহায়তার বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র ‘যেকোনো কিছু’ পেতে চায়।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন কনজারভেটিভ পলিটিক্যাল অ্যাকশন কনফারেন্সে দেওয়া বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, ইউক্রেনকে দেওয়া কয়েকশ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা ও অন্যান্য সহায়তার ‘প্রত্যাবর্তন’ তিনি নিশ্চিত করতে চান। এর জন্য ইউক্রেনের বিরল খনিজ সম্পদ সংক্রান্ত একটি চুক্তি ‘প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে’ রয়েছে।

 

তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এখনো এই চুক্তির খসড়া মেনে নিতে প্রস্তুত নন।

 

ট্রাম্প বলেন, আমরা তাদের কাছ থেকে কিছু চাই, কারণ আমরা অনেক টাকা দিয়েছি। তাই আমরা বিরল খনিজ এবং তেল চাই—যা কিছু পাওয়া যায়!

তিনি দাবি করেন, ইউরোপীয় দেশগুলো ইউক্রেনকে যে সহায়তা দিয়েছে, তা মূলত ঋণ হিসেবে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র সেই সুবিধা পায়নি।

ট্রাম্প বলেন, আমরা আমাদের অর্থ ফেরত আনবো। কারণ এটি কোনোভাবেই ন্যায্য নয়। আমি মনে করি, আমরা একটি চুক্তির খুব কাছাকাছি আছি। আমাদের কাছাকাছি থাকতেই হবে।

 

তিনি দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ৩৫০ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা দিয়েছে। তবে জার্মানির কিয়েল ইনস্টিটিউট ফর দ্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমির মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর হিসাব অনুযায়ী, এই সহায়তার পরিমাণ ১২০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি।
চুক্তিতে ইউক্রেনের আপত্তি

ইউক্রেনের বিরল খনিজ ধাতুগুলো স্মার্টফোন ও বৈদ্যুতিক যানবাহনের মতো উচ্চ প্রযুক্তির পণ্য তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। বিশ্বব্যাপী এগুলোর চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। ইউক্রেনে পাওয়া এসব খনিজ সম্পদের অর্ধেকটা পাওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

ইউক্রেনীয় সূত্র জানিয়েছে, ‘একাধিক সমস্যা থাকার কারণে’ এই চুক্তি এখনো চূড়ান্ত হতে পারেনি। খসড়া চুক্তিগুলোতে কেবল ইউক্রেনের একতরফা প্রতিশ্রুতি রয়েছে, কিন্তু পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত নেই।

 

কিয়েভের লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা আদায় করা, যা রাশিয়ার সঙ্গে ভবিষ্যৎ শান্তি আলোচনার ভিত্তি হতে পারে।
Jagonews24 Google News Channelজাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন আমাদের গুগল নিউজ চ্যানেল।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার শনিবার জেলেনস্কির সঙ্গে এক ফোনালাপে যুক্তরাজ্যের ‘দৃঢ় সমর্থন’ পুনর্ব্যক্ত করেছেন। স্টার্মার ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটনে যাচ্ছেন। সেখানে তারা ইউক্রেনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ধরে রাখার বিষয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করবেন।

সূত্র: স্কাই নিউজ