NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, মে ৭, ২০২৫ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
ভবিষ্যতে এমন হামলার চেষ্টা করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: উপদেষ্টা অর্ডিন্যান্স আকারে আইন করে বাংলাদেশ হেলথ সার্ভিস গঠনের সুপারিশ মালয়েশিয়া সফর স্থগিত করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হামজা-শামিত জুটি সম্ভাবনার আরেক ধাপ অগ্রগতি কোরবানির চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে কমিটি গঠনের নির্দেশ - প্রধান উপদেষ্টা মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ নেত্রীকে পুলিশে দিলো শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর ফ্লাইট বাতিলের হিড়িক তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতা চান না ট্রাম্প বাংলাদেশি হিসেবে রিশাদের রেকর্ডের দিনে লাহোরের হার ভারতীয় অনুরাগীদের মন্তব্যে হানিয়া বললেন ‘আমি কেঁদে ফেলব’
Logo
logo

মার্শা বার্নিকাটসহ ৩ জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকের পদত্যাগ চান ট্রাম্পের সহযোগীরা


খবর   প্রকাশিত:  ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ০৭:৩০ এএম

মার্শা বার্নিকাটসহ ৩ জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকের পদত্যাগ চান ট্রাম্পের সহযোগীরা

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সহযোগীরা বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটসহ দেশটির তিনজন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিককে পদত্যাগ করতে বলেছেন। বার্নিকাট ছাড়া বাকি দুজন হলেন ডেরেক হোগান ও এলেইনা টেপলিটজ। তারা মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ কর্মসংস্থান এবং সমন্বয় তদারকির দায়িত্বপালন করছেন।

জানা যায়, বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন সার্ভিসের ডিরেক্টর-জেনারেল হিসেবে কাজ করছেন। তিনি কর্মী নিয়োগ, দায়িত্ব বণ্টন এবং কর্মজীবন উন্নয়নের বিষয়গুলো দেখভাল করেন। ডেরেক মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি। তিনি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন শাখার মধ্যে তথ্য প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করেন। আর এলেইনা টেপলিটজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের কাজ তদারকি করেন।

 

সাধারণত, নতুন প্রশাসন ক্ষমতায় এলে রাজনৈতিকভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা পদত্যাগ করেন। তবে ক্যারিয়ার কূটনীতিকরা সাধারণত তাদের কাজ চালিয়ে যান। ট্রাম্পের টিম এই তিন কর্মকর্তার পদত্যাগ দাবি করে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাদের লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আরও বেশি রাজনৈতিক নিয়োগ নিশ্চিত করতে চাইছে।

 

ট্রাম্প তার প্রচারণায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন কাঠামো থেকে তথাকথিত ‘ডিপ স্টেট’ ভাঙার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার পরিকল্পনা অনুযায়ী, কিছু কর্মকর্তা এবং কর্মচারী, যাদের প্রশাসনিক নীতির সঙ্গে মতভেদ রয়েছে, তাদের সরিয়ে দেওয়া হবে।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই বিষয়ে তারা এখনো কোনো ঘোষণা দেননি।

পেন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডেনিস জেট বলেছেন, এই তিন কর্মকর্তার পদত্যাগ আদায়ের মাধ্যমে প্রশাসনিক কাঠামোর নিয়ন্ত্রণ বাড়ানো সম্ভব হবে। তাদের বদলে যারা আসবেন, তারা মূলত ট্রাম্পের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করবেন।

 

তবে বিরোধীরা অভিযোগ করেছেন, এই সিদ্ধান্ত ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক নীতিকে আরও জোরদার করবে। বিশেষ করে ‘শিডিউল এফ’ পরিকল্পনার আওতায় কর্মী নিয়োগের পরিবর্তন বিতর্ক তৈরি করেছে।

 

ট্রাম্প আগামী ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন। তার দলের এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক কাঠামোতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সূত্র: রয়টার্স