NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শনিবার, জুন ৭, ২০২৫ | ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Logo
logo

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া পদত্যাগপত্রে যা লিখেছেন টিউলিপ


খবর   প্রকাশিত:  ২৭ জানুয়ারী, ২০২৫, ০২:৫১ এএম

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া পদত্যাগপত্রে যা লিখেছেন টিউলিপ

যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন দেশটির লেবার পার্টির নেতা টিউলিপ সিদ্দিক। এ জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের কাছে পাঠানো পদত্যাগপত্রে তিনি বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।

চিঠির শুরুতেই টিউলিপ লিখেছেন, প্রিয় প্রধানমন্ত্রী, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আমার প্রতি যে আস্থা দেখিয়েছেন সে জন্য ধন্যবাদ।

 

আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করে দেখার যে আহ্বান জানিয়েছিলাম, তাতে তাৎক্ষণিক সাড়া দেওয়ায় আমি আপনার (স্টারমার) ইনডিপেনডেন্ট এথিকস অ্যাডভাইজার স্যার লাউরি ম্যাগনাসের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমার বর্তমান ও অতীতের আর্থিক এবং আবাসনসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরার সুযোগ দেওয়ার জন্যও আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবো।

 

টিউলিপ লেখেন, আপনি জানেন যে, বিষয়টি নিয়ে আমার অনুরোধে যে গভীর পর্যালোচনা হয়েছে, সেখানে স্যার লাউরি নিশ্চিত করেছেন মন্ত্রী হিসেবে কোনো বিধি আমি লঙ্ঘন করিনি। যেমনটি তিনি (লাউরি ম্যাগনাস) বলেছেন, আমি আমার সম্পদ ও আবাসন সম্পত্তি নিয়ে কোনো অনিয়ম করেছি, সেরকম কোনো প্রমাণ নেই। অথবা এমন কোনো প্রমাণ নেই যা দিয়ে বোঝায় আমার কোনো সম্পদ আইনগত বা বৈধ উৎসের বাইরে থেকে পাওয়া।

টিউলিপ আরও লেখেন, আমার পারিবারিক সম্পর্ক একটি প্রকাশ্য বিষয়। যখন আমি মিনিস্টার হয়েছিলাম তখন আমি আমার সম্পর্কের বিস্তারিত ও ব্যক্তিগত স্বার্থের বিষয়গুলো সরকারের কাছে তুলে ধরেছিলাম। কর্মকর্তাদের সঙ্গে ব্যাপকভাবে আলোচনা করার পর আমি আমার স্বার্থসংশ্লিষ্টতার ঘোষণায় এটা উল্লেখ করার পরামর্শ পেয়েছিলাম যে আমার খালা বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং স্বার্থগত দ্বন্দ্ববিষয়ক ধারণা এড়াতে বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট বিষয়াবলি থেকে আমাকে সরিয়ে রাখার জন্য। আমি আপনাকে নিশ্চিত করছি যে এসব বিষয়ে পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে এবং কর্মকর্তাদের পরামর্শ মোতাবেক কাজ করেছি এবং তা অব্যাহত রেখেছি।

লেবার পার্টির টানা চারবারের এমপি টিউলিপ লেখেন, যাইহোক এটা স্পষ্ট যে ব্রিটেনের আর্থিক সেবাবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আমার দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়াটা সরকারের মনোযোগ নষ্টের কারণ হতে পারে।

 

তাই আমি মন্ত্রিত্বের পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে লেবার সরকারের প্রতি আমার আনুগত্য স্পষ্ট এবং সবসময় তা অব্যাহত থাকবে।