NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, মে ৭, ২০২৫ | ২৪ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
ভবিষ্যতে এমন হামলার চেষ্টা করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: উপদেষ্টা অর্ডিন্যান্স আকারে আইন করে বাংলাদেশ হেলথ সার্ভিস গঠনের সুপারিশ মালয়েশিয়া সফর স্থগিত করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হামজা-শামিত জুটি সম্ভাবনার আরেক ধাপ অগ্রগতি কোরবানির চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে কমিটি গঠনের নির্দেশ - প্রধান উপদেষ্টা মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ নেত্রীকে পুলিশে দিলো শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর ফ্লাইট বাতিলের হিড়িক তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতা চান না ট্রাম্প বাংলাদেশি হিসেবে রিশাদের রেকর্ডের দিনে লাহোরের হার ভারতীয় অনুরাগীদের মন্তব্যে হানিয়া বললেন ‘আমি কেঁদে ফেলব’
Logo
logo

‘আসাদের পতনে ইরান দুর্বল হবে না’, যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলকে দুষলেন খামেনি


খবর   প্রকাশিত:  ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:২৪ পিএম

‘আসাদের পতনে ইরান দুর্বল হবে না’, যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলকে দুষলেন খামেনি

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বুধবার বলেছেন, সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদকে উৎখাতের পর ইসরায়েলবিরোধী ‘প্রতিরোধ’ দুর্বল হওয়া তেহরানের শক্তি কমাবে না।

তিনি আরো বলেন, ‘যারা প্রতিরোধের অর্থ বোঝে না, তারা ধারণা করে, প্রতিরোধ দুর্বল হলে ইসলামিক ইরানও দুর্বল হয়ে যাবে...ইরান শক্তিশালী ও ক্ষমতাশালী এবং আরো শক্তিশালী হবে।’

সিরিয়ার বিদ্রোহীদের দ্রুত অগ্রগতি ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল থেকে তারা দামেস্কে পৌঁছনোয় তেহরানের মিত্র বাশার আল-আসাদের পরিবারের কয়েক দশকব্যাপী শাসন শেষ হয়েছে। আসাদ দীর্ঘ সময় ধরে ইরানের ইসরায়েলবিরোধী ‘প্রতিরোধ অক্ষ’র কৌশলগত ভূমিকা পালন করেছিলেন, বিশেষ করে প্রতিবেশী লেবাননে তেহরানের মিত্র হিজবুল্লাহকে অস্ত্র সরবরাহে সহায়তা করার মাধ্যমে।

 


 

ইরানের এই প্রতিরোধ অক্ষের মধ্যে হিজবুল্লাহ, গাজায় হামাস, ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহী ও ইরাকের ছোট শিয়া মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলো রয়েছে। এসব গোষ্ঠী ইসরায়েল ও তার প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে একত্র।

এ ছাড়া ইরানের সর্বোচ্চ নেতা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের ‘জায়োনিস্ট শাসন’কে আসাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, সিরিয়ায় যা ঘটেছে তা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের যৌথ ষড়যন্ত্রের ফল—এ বিষয়ে কারো সন্দেহ থাকা উচিত হয়।

 


 

একই সঙ্গে খামেনি সিরিয়ার আরো একটি ‘প্রতিবেশী রাষ্ট্র’কে তার ‘স্পষ্ট ভূমিকা’র জন্য দায়ী করেছেন। তবে তিনি দেশটির নাম উল্লেখ করেননি। সিরিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে ইরাক, ইসরায়েল, জর্দান, লেবানন ও তুরস্ক। এর মধ্যে তুরস্ক দীর্ঘদিন ধরে আসাদের উৎখাতের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে।

 

সিরিয়ায় বিভিন্ন ‘আক্রমণকারী’রা ভিন্ন লক্ষ্য অনুসরণ করছে উল্লেখ করে খামেনি বলেছেন, ‘তাদের লক্ষ্য আলাদা, কিছু লোক উত্তর বা দক্ষিণ সিরিয়ার জমি দখল করতে চাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র অঞ্চলে তার অবস্থান শক্তিশালী করতে চাচ্ছে।’

তুরস্কের বাহিনী সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে অবস্থান করছে এবং দক্ষিণে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী একটি জাতিসংঘের টহলে থাকা বাফার অঞ্চলে সেনা পাঠিয়েছে, যা ইসরায়েল অধিকৃত গোলান মালভূমির পূর্বে দুই দেশের সীমান্তে অবস্থিত। যুক্তরাষ্ট্রও সিরিয়ায় বাহিনী মোতায়েন করেছে, যেখানে তারা কুর্দি নেতৃত্বাধীন যোদ্ধাদের সঙ্গে ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে।

সূত্র : এএফপি