NYC Sightseeing Pass
Logo
logo

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের টানাপোড়েন, যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র


খবর   প্রকাশিত:  ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৭:২৪ পিএম

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের টানাপোড়েন, যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন ইস্যুতে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ব্যাপারটি বাংলাদেশ ও ভারতের সরকারের ওপরই ছেড়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন মুখপাত্র। 

সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা বাংলার করা এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন মুখপাত্র এ কথা জানান।


 

ভয়েস অব আমেরিকা বাংলার পক্ষ থেকে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা তৈরি হওয়ার আলোকে আঞ্চলিক নিরাপত্তা প্রোমোটে যুক্তরাষ্ট্র কী ধরণের পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে বলে একটি প্রশ্ন করা হয়।

এ প্রশ্নের উত্তরে ই-মেইল বার্তায় স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র জানান, ‘আমরা বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের সঙ্গেই আমাদের সম্পর্ককে গভীরভাবে মূল্য দিই। তাদের একে অপরের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ব্যাপারটি আমরা বাংলাদেশ ও ভারতের সরকারের উপরই ছেড়ে দিয়েছি।’

 


 

বাংলাদেশের ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে বাংলাদেশের ভারতীয় দূতাবাসে স্বাভাবিকের তুলনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করা হয়েছে। ভারতীয় দূতাবাসের সামনে ও এর আশপাশে বাড়তি পুলিশ সদস্য মোতায়ন করা হয়েছে।

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতাবিষয়ক ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অতিরঞ্জিত ছিল বলে দাবি করে আসছে বাংলাদেশ সরকার।

 


 

এদিকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের কথিত ‘নিষ্ক্রিয়তা’র অভিযোগের ব্যাপারটি যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে দেখছে, এমন প্রশ্নের জবাবে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের ওপর সহিংসতা ও তাদের প্রতি অসহিষ্ণুতার যেকোনো ঘটনার নিন্দা জানাই এবং বাংলাদেশের সব নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া অব্যাহত পদক্ষেপগুলোকে স্বাগত জানাই।’


 

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়নের ঘটনার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের ব্যাপারে জানতে চাইলে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও সংগঠন (করার স্বাধীনতাকে) মৌলিক স্বাধীনতা হিসেবে সমর্থন করে। আমরা নিয়মিতভাবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারসহ আমাদের সব অংশীদারদের কাছে সেই সমর্থনের কথা জানাই।