NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, মে ৭, ২০২৫ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
ভবিষ্যতে এমন হামলার চেষ্টা করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: উপদেষ্টা অর্ডিন্যান্স আকারে আইন করে বাংলাদেশ হেলথ সার্ভিস গঠনের সুপারিশ মালয়েশিয়া সফর স্থগিত করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হামজা-শামিত জুটি সম্ভাবনার আরেক ধাপ অগ্রগতি কোরবানির চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে কমিটি গঠনের নির্দেশ - প্রধান উপদেষ্টা মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ নেত্রীকে পুলিশে দিলো শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর ফ্লাইট বাতিলের হিড়িক তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতা চান না ট্রাম্প বাংলাদেশি হিসেবে রিশাদের রেকর্ডের দিনে লাহোরের হার ভারতীয় অনুরাগীদের মন্তব্যে হানিয়া বললেন ‘আমি কেঁদে ফেলব’
Logo
logo

ইসরায়েলি বন্দি নিয়ে যা জানাল হামাস


খবর   প্রকাশিত:  ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০১:৫৩ এএম

ইসরায়েলি বন্দি নিয়ে যা জানাল হামাস

গত বছরের ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলের ইতিহাসে ঘটা নজিরবিহীন হামলার মূল হোতা বলা হয় ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে। বুধবার দেশটির সামরিক বাহিনী এক অভিযানে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান সেই ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যা করেছে। বছরব্যাপী হত্যার মিশন তারা শেষ করেছে।

তবে সিনওয়ার হত্যার পর ইসরায়েলি বন্দি নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানিয়েছে হামাস।

দলটি জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে তাদের হাতে আটক থাকা আর কোনো বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে না। ইসরায়েলি হামলায় হামাসপ্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর শোক জানানোর পাশাপাশি সংগঠনটি এ ঘোষণা দিয়েছে।

 

৭ অক্টোবর হামলার মাস্টারমাইন্ড বা মূল হোতা বলা হয় ইয়াহিয়া সিনাওয়ারকে। তাকে হত্যার পর চলমান যুদ্ধে মোড় বদলের আশা জেগেছিল অনেকের মনে।

বিশেষত বন্দিদের পরিবারের সদস্যদের স্বজনদের ফিরে পাওয়া এবং গাজাবাসীর আরো মানবিক সহায়তা পাওয়ার আশা তৈরি হয়েছিল। 

 


 

কিন্তু হামাসের কর্মকর্তা খলিল আল-হায়া এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘গাজায় আমাদের মানুষদের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আর কোনো বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে না। এটাই হামাসের সর্বশেষ অবস্থান।’

হামাসপ্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার ইসরায়েলের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় ছিলেন।

বৃহস্পতিবার সিনওয়ারের নিহত হওয়ার খবর জানায় ইসরায়েল। পরে হামাসের পক্ষ থেকেও আনুষ্ঠানিকভাবে তা জানানো হয়।

 


 

সিনওয়ারকে মৃত্যুর বিষয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সিনওয়ারের মৃত্যু হামাসের অশুভ শাসনের পতনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ যুগান্তকারী ঘটনা। যদিও এটি গাজা যুদ্ধের শেষ নয়, এটি শেষের শুরু।

এদিকে সিনওয়ারের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সিনিয়র সদস্য বাসেম নাইম এএফপিকে বলেছেন, ‘হামাস একটি মুক্তি আন্দোলন, যার নেতৃত্বে মানুষ স্বাধীনতা ও মর্যাদা খুঁজছে।

নেতাদের হত্যার মাধ্যমে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটিকে নির্মূল করা যাবে না।

 

এক বিবৃতিতে তিনি অতীতে নিহত হামাস নেতাদের স্মরণ করে বলেছেন, তাদের মৃত্যু এ গোষ্ঠীর জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছে।


 

তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল বিশ্বাস করে আমাদের নেতাদের হত্যার অর্থ আন্দোলন এবং ফিলিস্তিনি জনগণের সংগ্রামের সমাপ্তি। তবে প্রতিবারই হামাস শক্তিশালী ও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং এই নেতারা মুক্ত ফিলিস্তিনের দিকে যাত্রা চালিয়ে যাওয়ার জন্য আইকনে পরিণত হয়েছেন।’ 

ইসরায়েলি সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড্যানিয়েল লেভি আলজাজিরাকে বলেছেন, সিনওয়ারের মৃত্যু হলেও তাতে নিপীড়নের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধের অবসান ঘটবে না। কারণ এটি একটি প্রতিরোধ আন্দোলন, যা এর জনগণের মধ্যে নিহিত। ফলে এটি চলতে থাকবে। 


 

এদিকে লেবাননের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ ঘোষণা দিয়েছে, তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযানের নতুন ধাপ শুরু করেছে। শুক্রবার হিজবুল্লাহর অভিযান পরিচালনাকারী সদর দপ্তর থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে ইসরায়েলবিরোধী লড়াইয়ের দ্বিতীয় ধাপের ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই নতুন ধাপের লড়াই দৃশ্যমান হবে এবং এর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ঘটনাগুলো দেখা যাবে।