NYC Sightseeing Pass
Logo
logo

আলবেনিয়ায় পৌঁছল ১০ বাংলাদেশিসহ অভিবাসীবাহী ইতালির প্রথম জাহাজ


খবর   প্রকাশিত:  ১৭ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:৫২ এএম

আলবেনিয়ায় পৌঁছল ১০ বাংলাদেশিসহ অভিবাসীবাহী ইতালির প্রথম জাহাজ

ইতালি-আলবেনিয়া চুক্তির অধীনে ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার হওয়া ১৬ অভিবাসীর প্রথম দলটি বুধবার আলবেনিয়ার শেনজিন বন্দরে পৌঁছেছে। তাদের মধ্যে ১০ জন বাংলাদেশি এবং ছয়জন মিসরীয়। এদিন বার্তা সংস্থা রয়টার্সের ফুটেজে ইতালি নৌবাহিনীর জাহাজ লিব্রাকে শেনজিন বন্দরে নোঙর করা অবস্থায় দেখা গেছে।

এর আগে রবিবার ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে এই ১০ বাংলাদেশি ও ছয় মিসরীয়কে উদ্ধার করেছিল রোম।

ইতালির লাম্পেদুসা থেকে সোমবার যাত্রার পর অবশেষে বুধবার আলবেনিয়ায় পৌঁছয় অভিবাসীদের প্রথম দলটি।

 

২০২৩ সালের শেষের দিকে ইতালির ডানপন্থী প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ও আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী এডি রামার সরকারের মধ্যে সই করা একটি ‘বিতর্কিত’ চুক্তির অধীনে প্রথমবারের মতো আলবেনিয়ায় গেল অভিবাসীরা। এই চুক্তি আগামী পাঁচ বছরের জন্য কার্যকর থাকবে বলে উল্লেখ রয়েছে। আলবেনিয়ায় যাওয়া আশ্রয়প্রার্থীদের এখন শেনজিন বন্দরের কেন্দ্রটিতে প্রাথমিক যাচাই-বাছাই করা হবে।

পরে তাদের নেওয়া হবে শেনজিন থেকে ১৫ মিনিটের দূরত্বে আলবেনিয়ার ছোট্ট গ্রাম গজদারে স্থাপিত ভিন্ন অবকাঠামোতে।

 


 

চুক্তির অধীনে সর্বোচ্চ তিন হাজার আশ্রয়প্রার্থীকে আলবেনিয়ার কেন্দ্রগুলোতে রাখা যাবে। প্রতিবছর ৩৬ হাজার অভিবাসীর আশ্রয় আবেদন যাচাই-বাছাই করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আলবেনিয়ার কেন্দ্রগুলো উঁচু প্রাচীরে ঘেরা এবং সার্বক্ষণিক নজরদারি ক্যামেরার আওতায় রয়েছে।

যেসব কক্ষে আশ্রয়প্রার্থীদের রাখা হবে সেগুলো একেকটি ১২ বর্গমিটার আয়তনের বলে জানিয়েছে রোম ও তিরানা।

 

এদিকে এই চুক্তির পর অভিবাসীদের অনেকের মধ্যে ধারণা তৈরি হয়েছে, সম্ভবত ভূমধ্যসাগর হয়ে যাওয়া সবাইকে আলবেনিয়ায় পাঠানো হবে। প্রকৃতপক্ষে যেসব দেশকে ইতালি ‘নিরাপদ’ বলে মনে করে, সেসব দেশ থেকে যাওয়া আশ্রয়প্রার্থীদের মধ্যে একক বা সিঙ্গেল পুরুষদের আলবেনিয়ায় পাঠাতে পারবে রোম। বর্তমানে বাংলাদেশ, মিসর, আইভরি কোস্ট, তিউনিশিয়াসহ মোট ২১টি দেশ নিরাপদ তালিকায় আছে। ২০২৩ সালে এই চারটি দেশ থেকে মোট ৫৬ হাজার ৫৮৮ জন অভিবাসী ইতালিতে গিয়েছে।

 

তবে প্রতি মাসে হাজার হাজার অভিবাসীকে ভূমধ্যসাগর থেকে আলবেনিয়ায় পাঠানোর এই প্রকল্পটি সত্যিকার অর্থে বাস্তবায়িত হবে কি না সেটি এখন দেখার বিষয়।

সূত্র : ইনফোমাইগ্রেন্টস