শারদীয় দুর্গাপূজায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মাঠ প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে গতকাল বুধবার একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে ছাত্র-জনতাকে নিয়ে মনিটরিং কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, র্যাব, আনসার ও ভিডিপির দৃশ্যমান টহল জোরদার এবং গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে নিয়োজিত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবেন।
যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে পূর্বপ্রস্তুতি নিতে হবে।
অপ্রত্যাশিতভাবে কোনো ঘটনার সূত্রপাত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। পূজা উদযাপন উপলক্ষে স্থানীয় প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করতে হবে।
নির্দেশনায় আরো বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তিকর বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে—এমন বক্তব্য বা গুজবের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
পূজা উদযাপন কমিটিকে পূজামণ্ডপে সার্বক্ষণিক পাহারার জন্য প্রয়োজনীয় স্বেচ্ছাসেবক ও পাহারাদার (পালাক্রমে দিনে অন্তত তিনজন এবং রাতে চারজন) নিয়োজিত করতে হবে।
প্রতিটি পূজামণ্ডপে সার্বক্ষণিক সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের ব্যবস্থা নিতে হবে। পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য, বিজিবি, আনসার ও ভিডিপি, র্যাব এবং অন্যান্য বাহিনীর সদস্য মোতায়েন নিশ্চিত করতে হবে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা বিধানে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ছাত্র-জনতাকে অন্তর্ভুক্ত করে মনিটরিং কমিটি গঠন করতে হবে।
জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কমিটি গঠন করতে হবে।