NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, মে ১৫, ২০২৫ | ৩১ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
পৃথিবীর ভবিষ্যৎ আমাদের প্রত্যেকের হাতে: প্রধান উপদেষ্টা সিরিয়ার ওপর থেকে সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা ট্রাম্পের দিল্লি ক্যাপিটালসে ডাক পেলেন মোস্তাফিজ লন্ডনের মঞ্চে ‘ডিডিএলজে’, চমকে দিলেন শাহরুখ খান জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বিষয়টি পুরোপুরি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার -প্রেস সচিব শিগগিরই মিসরের সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সৌদি আরবের সঙ্গে ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ভারতের হামলায় ১১ সেনা নিহত, আহত ৭৮: পাকিস্তান আইএসপিআর কেন দাম কমে গেছে সুপারস্টার নয়নতারার পর্দা নামলো সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগের, বিজয়ী গিগাবাইট টাইটানস
Logo
logo

সাইফুজ্জামানসহ হাসিনা সরকারের মন্ত্রীদের দুর্নীতি তদন্তে ব্রিটিশ এমপির চিঠি


খবর   প্রকাশিত:  ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৫:৫৩ এএম

সাইফুজ্জামানসহ হাসিনা সরকারের মন্ত্রীদের দুর্নীতি তদন্তে ব্রিটিশ এমপির চিঠি

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও শেখ হাসিনা সরকারের সাবেক মন্ত্রীদের দুর্নীতি তদন্তে ব্রিটেনের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সিকে চিঠি দিয়েছেন ব্রিটিশ বাংলাদেশি এমপি আপসানা বেগম।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ব্রিটেনের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির ডিরেক্টর জেনারেল গ্রীম বিগারকে একটি চিঠি দিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রী যাদের বিরুদ্ধে ব্রিটেনে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে সেগুলো তদন্ত, ব্রিটেনে অর্জিত সম্পদ স্থগিত করা, অপরাধীদের আইনের আওতার আনার আহ্বান জানিয়েছেন।

আপসানা বেগম চিঠির শুরুতে লেখেন, বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সদস্যদের যুক্তরাজ্যে থাকা সম্পত্তি ও সম্পদের বিষয়ে ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) কী ব্যবস্থা নিচ্ছে তা জানতে আমি লিখছি। যেগুলো তারা দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক অপরাধের মাধ্যমে অর্জন করেছেন।

 

চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, শেখ হাসিনা সরকারের লোকেরা শত শত মানুষকে হত্যা করে ছাত্রদের বিক্ষোভের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে দেশ থেকে পালিয়ে যান।

চিঠিতে শেখ হাসিনা সরকারের দুর্নীতি নিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যম ফাইনান্সিয়াল টাইমস, কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার তথ্যের সূত্র দিয়ে আপসানা বেগম বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে অর্থ পাচার করে ব্রিটেনে ১৫০ মিলিয়ন পাউন্ডের সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। ব্রিটিশ ল্যান্ড রেজিস্টারের তথ্য বলছে, সাইফুজ্জামান চৌধুরী ২৮০টি প্রপার্টি কিনেছেন।

তিনি চিঠিতে আরো উল্লেখ করেন, খুব দুঃখজনকভাবে ৭১টি বাড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে শুধু আমার নির্বাচনী এলাকা পপলার ও লাইম হাউজে।

বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ বিষয়ে তদন্ত করছে। তারা এসব তহবিল পুনরুদ্ধারের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চাইছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও অন্যদের মালিকানাধীন যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সব সম্পদের তদন্ত ও জব্দ করার জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা স্পষ্ট করলে আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ হব।

 

চিঠির শেষাংশে আপসানা বেগম লেখেন, আমি নিশ্চিত আপনি একমত হবেন যে এই তহবিল জব্দ করা ও ফেরত দেওয়া শুধু ন্যায়বিচার ও বাংলাদেশের জনগণের অধিকারের ভবিষ্যতের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং যুক্তরাজ্যের সুনাম ও আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তির জন্যও প্রযোজ্য।