NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, মে ১৪, ২০২৫ | ৩১ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
পৃথিবীর ভবিষ্যৎ আমাদের প্রত্যেকের হাতে: প্রধান উপদেষ্টা সিরিয়ার ওপর থেকে সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা ট্রাম্পের দিল্লি ক্যাপিটালসে ডাক পেলেন মোস্তাফিজ লন্ডনের মঞ্চে ‘ডিডিএলজে’, চমকে দিলেন শাহরুখ খান জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বিষয়টি পুরোপুরি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার -প্রেস সচিব শিগগিরই মিসরের সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সৌদি আরবের সঙ্গে ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ভারতের হামলায় ১১ সেনা নিহত, আহত ৭৮: পাকিস্তান আইএসপিআর কেন দাম কমে গেছে সুপারস্টার নয়নতারার পর্দা নামলো সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগের, বিজয়ী গিগাবাইট টাইটানস
Logo
logo

বিবিসি সাংবাদিকের স্ত্রীসহ দুই মেয়েকে হত্যা


খবর   প্রকাশিত:  ১২ জুলাই, ২০২৪, ০৭:৩৫ এএম

বিবিসি সাংবাদিকের স্ত্রীসহ দুই মেয়েকে হত্যা

ক্রসবো (তীর-ধনুক সদৃশ অস্ত্র) দিয়ে বিবিসির এক সাংবাদিকের স্ত্রী ও তার দুই মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাজ্যের পূর্ব ইংল্যান্ডের হার্ডফোর্ডশায়ারের বুশি শহরে। এ ঘটনায় ক্রসবো হামলার জন্য এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। 

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতরা বিবিসি ফাইভ লাইভের রেসিং বিভাগের ধারাভাষ্যকার জন হান্টের ৬১ বছর বয়সী স্ত্রী ক্যারল হান্ট, ২৮ বছর বয়সী হান্নাহ হান্ট ও ২৫ বছর বয়সী লুইস হান্ট।

 

বিবিসির রেসিং বিভাগের ধারাভাষ্যকার হিসেবে ৩০ বছরের বেশি সময় চাকরি করছেন হান্ট। সংবাদমাধ্যম ও রেসিং সমর্থকদের মধ্যে তার বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। এ ঘটনা ঘিরে হান্টের পরিবার এবং তার কর্মস্থল বিবিসিসহ যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

গত মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় তিনজনকে গুরুতর জখম অবস্থায় পাওয়া যায়।

ঘটনাস্থলেই তাদের মৃতু হয়েছে বলে পরে নিশ্চিত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

 

এদিকে এ ঘটনায় সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল  বুধবার এনফিল্ডের ল্যাভেন্ডার হিল সেমেট্রি থেকে ক্লিফোর্ড নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। উত্তর লন্ডনের এক কবরস্থানের কাছে তাকে আহত অবস্থায় পাওয়া যায়, জানিয়েছে ব্রিটিশ পুলিশ।

  ওই ব্যক্তির শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

 

তবে চূড়ান্তভাবে তিনিই অপরাধী কিনা, সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ক্রসবো তাদের হত্যার পর সেটি সঙ্গে নিয়েই ক্লিফোর্ড উত্তর লন্ডনে পালায় বলে তথ্য পাওয়ার পর তাকে ধরতে ব্যাপক অভিযান শুরু করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহভাজন ক্লিফোর্ড ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে কিছু দিন কাজ করার পর দুই বছর আগে চাকরি ছেড়ে দেন।

 

 

পুলিশের ধারণা, নিহতদের সঙ্গে ক্লিফোর্ডের পূর্ব পরিচয় ছিল। ঘটনার সময় ক্রসবোর পাশাপাশি অন্য অস্ত্রও ব্যবহৃত হয়েছিল।

পুলিশ আরো জানিয়েছে, কী কারণে এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। এখনও বিষয়টির তদন্ত চলছে। ক্রাইম ইউনিটের একজন গোয়েন্দা পরিদর্শক জাস্টিন জেনকিনস বলেছেন, ভুক্তভোগীর পরিবার কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই মুহূর্তে আমাদের অনুরোধ, তাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার প্রতি সবাই সম্মান রাখবেন।