NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, মে ৭, ২০২৫ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
ভবিষ্যতে এমন হামলার চেষ্টা করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: উপদেষ্টা অর্ডিন্যান্স আকারে আইন করে বাংলাদেশ হেলথ সার্ভিস গঠনের সুপারিশ মালয়েশিয়া সফর স্থগিত করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হামজা-শামিত জুটি সম্ভাবনার আরেক ধাপ অগ্রগতি কোরবানির চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে কমিটি গঠনের নির্দেশ - প্রধান উপদেষ্টা মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ নেত্রীকে পুলিশে দিলো শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর ফ্লাইট বাতিলের হিড়িক তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতা চান না ট্রাম্প বাংলাদেশি হিসেবে রিশাদের রেকর্ডের দিনে লাহোরের হার ভারতীয় অনুরাগীদের মন্তব্যে হানিয়া বললেন ‘আমি কেঁদে ফেলব’
Logo
logo

মে মাসে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ১০.৩৫ শতাংশ


খবর   প্রকাশিত:  ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ০৭:৪৩ এএম

মে মাসে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ১০.৩৫ শতাংশ

জানুয়ারিতে ঘোষিত মূদ্রানীতির লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী দ্বিতীয়বারের মতো বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছে মে মাসে। কারণ আগের মাসের তুলনায় ০.৪৫ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে ১০.৩৫ শতাংশে পৌঁছেছে বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি। এই ঋণের প্রবৃদ্ধির হার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধ্যে ১৪ শতাংশ থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। এরপর থেকে লক্ষ্যমাত্রার আশেপাশেই রয়েছে প্রবৃদ্ধি।

 

ব্যাংকাররা বলছেন, ‘সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ও ঋণের সুদহার বেড়ে যাওয়ায় প্রবৃদ্ধির এই অবস্থা। একটি দেশের উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ বৃদ্ধি অপরিহার্য। কিন্তু ক্রমেই আমাদের দেশের বেসরকারি বিনিয়োগ কমছে।
মে মাসে বেসরকারি খাতে ঋণ স্থিতি ১৬ লাখ ২২ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা, প্রবৃদ্ধি ১০.৩৫ শতাংশ।

এক বছরে বেসরকারি খাতে ঋণ বেড়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার ১৩৪ কোটি টাকা।’

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি বছরের এপ্রিলে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ৯.৯০ শতাংশ। মার্চে এ খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১০.৪৯ শতাংশ, যা ওই সময়ে নয় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল।

একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, দেশের অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক বাজারের মন্থর গতির কারণে ব্যবসায়ীরা নতুন করে ব্যবসা সম্প্রসারণ কম করছেন।

এ ছাড়া ঋণের সুদ বেড়ে ১৪ শতাংশের বেশি হয়ে গেছে। যার কারণে ব্যবসায়ীরা ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে সুদের হারকেও বিবেচনায় নিয়ে থাকেন। এ ছাড়া ধারবাহিকভাবে ডলারের রেট বাড়ছে। ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা আমদানি করার ক্ষেত্রে নানা হিসাব করছেন। যার কারণে প্রবৃদ্ধি খুব বেশি বাড়াছে না।

 
একটি সরকারি ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধান বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক আমদানি এলসিতে মার্জিন আরোপ করায় গত দুই বছরে আমদানি ব্যাপক কমেছে। এখন প্রতি মাসে এলসি খোলা হচ্ছে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলারের। যদিও ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রতি মাসে প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার করে এলসি খোলা হয়েছে। সে কারণে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি অনেক কমেছে। 

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) এলসি খোলা ও নিষ্পত্তির পরিমাণ আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যথাক্রমে কমেছে ৪.২৩ শতাংশ ও ১৩.৯৩ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ৫১.৪৮ বিলিয়ন ডলার। চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ৪৪.৩১ বিলিয়ন ডলার। চলতি অর্থবছরে প্রথম আট মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতির এলসি নিষ্পত্তি ২৫.৩৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১.৮৫  বিলিয়ন ডলারে। এছাড়া শিল্পের কাঁচামাল আমদানি নিষ্পত্তি ২৫.০৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১.৪৩ বিলিয়ন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১২.৬২ শতাংশ। এরপর থেকে টানা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে ঋণের প্রবৃদ্ধি কমেছে। তবে অক্টোবরে কিছুটা বেড়ে ১০.০৯ শতাংশ হয়েছিল। এরপর ফের নভেম্বরে কমে যায়। যদিও ডিসেম্বরে নভেম্বরের তুলনায় মার্জিনাল প্রবৃদ্ধি হয়েছে।