NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, মে ১৫, ২০২৫ | ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
পৃথিবীর ভবিষ্যৎ আমাদের প্রত্যেকের হাতে: প্রধান উপদেষ্টা সিরিয়ার ওপর থেকে সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা ট্রাম্পের দিল্লি ক্যাপিটালসে ডাক পেলেন মোস্তাফিজ লন্ডনের মঞ্চে ‘ডিডিএলজে’, চমকে দিলেন শাহরুখ খান জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বিষয়টি পুরোপুরি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার -প্রেস সচিব শিগগিরই মিসরের সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সৌদি আরবের সঙ্গে ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ভারতের হামলায় ১১ সেনা নিহত, আহত ৭৮: পাকিস্তান আইএসপিআর কেন দাম কমে গেছে সুপারস্টার নয়নতারার পর্দা নামলো সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগের, বিজয়ী গিগাবাইট টাইটানস
Logo
logo

নাইজারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের বিমানঘাঁটিতে রুশ সেনাদের প্রবেশ


খবর   প্রকাশিত:  ০৪ মে, ২০২৪, ০৭:৫২ এএম

নাইজারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের বিমানঘাঁটিতে রুশ সেনাদের প্রবেশ

রুশ সামরিক কর্মীরা নাইজারে একটি বিমান ঘাঁটিতে প্রবেশ করেছে। বিমানঘাঁটিটি রাজধানী নিয়ামির ডিওরি হামানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে অবস্থিত। যেখানে মার্কিন সেনারা অবস্থান করছে বলে একজন জ্যেষ্ঠ মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছে। 

একজন জ্যেষ্ঠ মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, রাশিয়ান বাহিনী মার্কিন সেনাদের সমস্যার কারণ হচ্ছে না।

তারা বিমানবন্দরের পাশে অবস্থিত এয়ারবেস ১০১-এ একটি পৃথক হ্যাঙ্গার ব্যবহার করছে।

 

নাইজারের জান্তা সরকার সে দেশে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের রাখতে চাইছে না। গত বছর অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নাইজারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। ক্ষমতা দখলের পরপরই জান্তা সরকার ওয়াশিংটনকে সে দেশে অবস্থান করা প্রায় এক হাজার মার্কিন সেনা সরিয়ে নিতে বলে।

যুক্তরাষ্ট্রও নাইজার থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহারের জন্য সম্মতি জানায়। তবে সেনা প্রত্যাহার কার্যক্রম এখনও শুরু হয়নি। এদিকে নিরাপত্তা বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে নাইজার।

 

রয়টার্সের প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে, মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন আমেরিকান সেনাদের কোন ঝুঁকি বা রাশিয়ান সেনাদের মার্কিন সামরিক হার্ডওয়্যারের কাছাকাছি যাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন।

হনলুলুতে এক সংবাদ সম্মেলনে অস্টিন বলেন, ‘রাশিয়ানরা একটি পৃথক কম্পাউন্ডে রয়েছে এবং মার্কিন বাহিনীর কাছে বা আমাদের সরঞ্জামের কাছে প্রবেশের অনুমতি তাদের নেই।’

 

তিনি আরো বলেন, “আমি সবসময় আমাদের সেনাদের সুরক্ষার দিকে মনোনিবেশ করি ... কিন্তু এই মুহূর্তে, আমি আমাদের বাহিনী সুরক্ষার বিষয়ে উল্লেখযোগ্য সমস্যা দেখতে পাচ্ছি না।” ওয়াশিংটনে নাইজেরিয়ান এবং রাশিয়ান দূতাবাসগুলোর কাছে  এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা কোনো সাড়া দেয়নি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা কিছু গোষ্ঠীর অভ্যুত্থানের পর আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশ থেকে তাদের সেনা সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে। নাইজার থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহার করতে যাচ্ছে, এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে চাদ ত্যাগ করেছে মার্কিন সেনারা।

এদিকে ফরাসি বাহিনীকেও মালি এবং বুর্কিনা ফাসো থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। একই সময়ে রাশিয়া আফ্রিকান দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে চাইছে। মস্কোকে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে দেখছে এই মহাদেশ।