NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শনিবার, মে ১০, ২০২৫ | ২৬ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের আত্মপ্রকাশ ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে ৩ রুটে ফ্লাইটের সময়সূচি পরিবর্তন বিমানের ভারতে অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ওয়্যার’ এর ওয়েবসাইট বন্ধ রাতে রিশাদ-নাহিদ রানার সঙ্গে দুবাই যাবেন দুই বাংলাদেশি সাংবাদিকও নিউইয়র্কে বাংলাদেশ সোসাইটির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনে আহবায়ক কমিটি গঠন নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগ: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ১০১ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা করেছে জুলাই ফাউন্ডেশন ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করবে না যুক্তরাষ্ট্র ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক পোস্ট ধ্বংসের দাবি পাকিস্তানের প্রিমিয়ার লিগে ব্যর্থ ম্যানইউ-টটেনহ্যামই ইউরোপা লিগের ফাইনালে
Logo
logo

প্রধানমন্ত্রীর উপহা‌রের ঘরে নতুন দিগন্তের হাতছানি


খবর   প্রকাশিত:  ২২ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১২:১৫ পিএম

>
প্রধানমন্ত্রীর উপহা‌রের ঘরে নতুন দিগন্তের হাতছানি

দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর পান লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার বাসিন্দা রেনু বেগম। উপহারের ঘরে এক বছর পার করেছেন তিনি। এ সময়ের মধ্যে জীবনের মোড় ঘুরতে শুরু করেছে তার। দুই শতক জায়গার ওপর বসবাস ছাড়াও আয়ের রাস্তা বের করে ফেলেছেন তিনি।

বুধবার (২০ জুলাই) নিজ ঘরেই জীবন বদলের চিত্র ঢাকা পোস্টের কাছে তুলে ধরেন রেনু। তার ভাষ্য, ৪০ বছরের জীবনের বেশিরভাগ সময় কেটেছে বাবা-ভাইদের পরিবারে। বিয়ের পর স্বামীর ভিটায় তিন বছরও থাকতে পারেননি তিনি। কারণ, মেঘনা নদীতে তার স্বামীর ভিটা চলে যায়। নিজের স্বামীর ভিটা হারিয়ে ফেলায় প্রতিনিয়ত নিজেকে নিঃস্ব ভাবতেন রেনু।

dhakapost

রেনু বেগম বলেন, ‘বিয়ের পর মাইয়াগো আসল ঠিকানা স্বামীর বাড়ি। কিন্তু স্বামীর সব তো নদী নিয়ে গেছে। চার ছেলে-মেয়ে নিয়ে অন্যের বাড়িতে থাকতে হতো। এর মধ্যে স্বামীও মারা যান। সবসময় মনে হতো কিছুই নাই আমার। এখন আমার একটা ঘর হইছে। এখানে আসার পর আমার ভাগ্য বদলাইছি। একটা গরু, দুইটা ছাগল, পাঁচটা মোরগ-হাঁস আছে। এগুলা থেকে প্রতি মাসে ১ হাজার টাকার মতো ইনকাম হয়। কোনো কোনো মাসে ২ হাজার টাকা ইনকাম করছি। এখানে ছেলে-মেয়ে নিয়ে সুখে আছি।’

রেনু জানান, দুই শতক জায়গার তিনি পেয়ারা, পেঁপে, আমড়া, জামরুল ও সুপারি গাছ লাগিয়েছেন। তার পেঁপে গাছে পেঁপে আসছে।

dhakapost

মুজিববর্ষে ভূমিহীন-গৃহহীন সব অসহায় মানুষকে নতুন ঘর উপহার দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন, তার আওতায় দ্বিতীয় পর্যায়ে গত বছর লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার চরঠিকা মোজায় ২৭০ পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়।

ভুলুয়া খাল লগোয়া জয় বাংলা আশ্রয়ণ প্রকল্প ঘুরে দেখা যায়, কমবেশি প্রতিটি পরিবার প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে সুখে-শান্তিতে বসবাস করছে। তাদের অনেকের ছেলে-মেয়েরা মাদরাসায় পড়ছে। কারও কারও সেলাইয়ের মেশিন রয়েছে, যা থেকে তারা কিছু আয়েরও ব্যবস্থা করেছেন। অনেক পরিবার হাঁস-মুরগি পালন করেও আয়ের রাস্তা বের করে নিয়েছে।

পুনর্বাসিতরা বলছেন, মাথা গোঁজার ঠাঁই হওয়াকেই তারা জীবনের সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হিসেবে দেখছেন। তারা এখন স্বপ্ন দেখেন সামনে এগিয়ে যাবার, সন্তানদের পড়ালেখা করানোর। পরিবর্তন করতে চান ভাগ্যের চাকা।