বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরই কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী এ বিষয়ে আরো পরিকল্পিতভাবে কাজ করা হবে।’
প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির মাধ্যমে দ্রুত দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের উপায় বের করতে গত ২১ জানুয়ারি অর্থ, কৃষি, খাদ্য এবং মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বৈঠক করেন। আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে অনুষ্ঠেয় সচিব সভায়ও বাজারের বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলার বিষয়ে আলোচনা-পরিকল্পনা হবে।
প্রসঙ্গত, বাণিজ্য ও এর সঙ্গে সম্পর্কিত ৩১ ধরনের কাজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত। এ কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে অভ্যন্তরীণ ব্যবসা-বাণিজ্য চলমান রাখা এবং সম্প্রসারণে সহায়তা, আমদানি বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করা, দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও সহনীয় পর্যায়ে রাখা, পণ্য ও সেবা রপ্তানির বাজার সম্প্রসারণ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ ও রপ্তানির স্বার্থে আলোচনা করা, দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় চুক্তি সম্পাদন ইত্যাদি।
সচিব সভা আজ
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে তাঁর কার্যালয়ে আজ সচিব সভা অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে রয়েছে বাজার পরিস্থিতি, খাদ্য, অর্থনীতি, জ্বালানি, কৃষি, নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নসহ অন্তত ১০টি বিষয়। উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা এবং নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের কর্মপরিকল্পনার বিষয়েও আলোচনা করা হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান কালের কণ্ঠকে বলেন, অর্থ, বাণিজ্য, কৃষি, খাদ্য, শিল্প এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বাজার ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সচিবরা বর্তমান পরিস্থিতি ও মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম সম্পর্কে প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন। অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবরাও সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী অন্য কোনো মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সম্পর্কে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট সচিব সে সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী সার্বিক বিষয়ে নির্দেশনা দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবরা কাজের পরিকল্পনা করবেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সর্বশেষ সচিব সভা হয়েছিল ২০২২ সালের ২৭ নভেম্বর। ওই বৈঠকে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে জাতীয় অর্থনীতিকে সুসংহত রাখা, জ্বালানি নিরাপত্তা, প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সারের জোগান নিশ্চিত করা এবং পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় আনা, সরকারি কাজে আর্থিক বিধি-বিধান অনুসরণ, সরকারি সেবা প্রদানে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারবিষয়ক পরিকল্পনা এবং ভূমিকম্প, অগ্নিকাণ্ড, বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি, পার্বত্য চট্টগ্রাম পরিস্থিতি, সুশাসন, শুদ্ধাচারসহ বিবিধ প্রশাসনিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল।