NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, রবিবার, মে ১৮, ২০২৫ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
মাইক্রোক্রেডিট ব্যাংক স্থাপন এখন সময়ের দাবি: প্রধান উপদেষ্টা ভারত ও পাকিস্তানের পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কা ঠেকিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র -ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় বড় সামরিক অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই আরও গভীর তুরস্ক-পাকিস্তান সম্পর্ক রোনালদোকে ছাড়া খেলতে নেমে এবার বড় ধাক্কা আল নাসরের ফিরছে লাক্স সুপারস্টার প্রতিযোগিতা অভ্যুত্থানের ৯ মাস পরও বড় পরিবর্তন সহজ হচ্ছে না এনসিপির যুব সংগঠন ‘জাতীয় যুবশক্তি’ স্বাগত জানাতে মেলোনিকে দেখে হাঁটু গেড়ে বসলেন আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী দুই ঘণ্টাতেই শেষ রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা, মেলেনি সমাধান
Logo
logo

কম পারিশ্রমিকে যে জনপ্রিয় গানটি গেয়েছিলেন ওস্তাদ রশিদ খান


খবর   প্রকাশিত:  ১২ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৮:৫৮ পিএম

কম পারিশ্রমিকে যে জনপ্রিয় গানটি গেয়েছিলেন ওস্তাদ রশিদ খান

বলিউডের অন্যতম মিউজিক্যাল হিট চলচ্চিত্র ‘জাব উই মেট’। ২০০৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত শাহিদ কাপুর ও কারিনা কাপুর জুটির সিনেমাটি বক্স অফিসে সাফল্যের পাশাপাশি দর্শক হৃদয়ও জয় করে নিয়েছিল। চমৎকার এক প্রেমের গল্পে ইমতিয়াজ আলির নির্মাণে সিনেমাটির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিল এর সংগীত। সিনেমাটির সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি গানের গায়ক প্রয়াত সংগীতজ্ঞ ওস্তাদ রশিদ খান আজ না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন।

 
‘আয়ো গে জাব তুম ও সাজনা’ গানটির গায়ক রশিদ খান আজ (৯ জানুয়ারি) মারা গেছেন। আর শিল্পীর বিদায়ে তাঁর গাওয়া গানগুলো আজ নতুন করে গুনগুন করছেন অনুরাগীরা। যার মধ্যে অন্যতম ‘আয়ো গে জাব তুম ও সাজনা।’

 

পর্দায় শাহিদ-কারিনার জুটিতে দর্শক-শ্রোতাদের মন ছুঁয়ে যাওয়া এই গানটি গেয়েছেন ওস্তাদ রশিদ খান।

 
তবে গানটি সৃষ্টির পেছনে রয়েছে ছোট্ট এক ইতিহাস। জানেন সেটা?

 

এক সাক্ষাৎকারে সিনেমাটির সংগীত পরিচালক সন্দেশ শাণ্ডিল্য জানিয়েছিলেন, ‘এই সিনেমার জন্য লেখাই হয়নি এই গান। এই গান সিনেমাটি তৈরির বহু বছর আগেই জন্ম নিয়েছিল।’ সংগীত পরিচালকের কথায়, নব্বইয়ের দশকে এমন অনেকেই ছিলেন যাঁরা নিজের জন্য গান ও সুর সৃষ্টি করতেন।

 
অনেক গান সিনেমায় জায়গাও করতে পারত না। তার মধ্যে যার যেটা পছন্দ হয়ে যেত, সেই গান সিনেমায় জায়গা করে নিত। তেমনই উদ্দেশ্যহীনভাবে জন্ম নিয়েছিল এই গান।’

 

তিনি বলেন, “এই গানের সুর হঠাৎই এসেছিল মনে। আমি রেকর্ড করে রেখেছিলাম।

 
সেই সময় আমি ফিয়াজ আনওয়ারের সঙ্গে কাজ করছি। আমি তাঁকে শুনিয়েছিলাম। তিনি সেই সময়ই গানের মুখরা লিখে দিয়েছিলেন। এরপর কেটে যায় বহু বছর। তারপর ইমতিয়াজ আলিকে একদিন হঠাৎ আমি এই সুর শুনিয়েছিলাম। তিনি শুনেই বলেছিলেন, তিনি তাঁর সিনেমায় গানটি ব্যবহার করবেন। আমি আবার গানের অন্তরার জন্য ছুটেছিলাম ফিয়াজের কাছে। এরপর খোঁজ পড়ে গায়কের। কে গাইবে গান? আমি জানতাম এই গানটার প্রতি সুবিচার তিনিই করতে পারবেন, যাঁর সংগীতের সেই অভ্যাসটা রয়েছে। কেউ যখন দিনের পর দিন সংগীতের চর্চা করেন, তাঁর কণ্ঠস্বর শুনলেই আপনি বুঝতে পারবেন পার্থক্যটা কোথায়। ওস্তাদ রশিদ সাহেবের প্রতি বরাবর আমার সেই শ্রদ্ধাটা ছিল। আমি যখন ওনার কাছে প্রস্তাব নিয়ে গেলাম, তিনি প্রচুর টাকা চেয়ে বসলেন। আমি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলাম, এটা আমাদের সামর্থ্যের বাইরে। একই সঙ্গে বলেছিলাম, আপনি এই গানটি ফেরাতে পারবেন না। কারণ আমি আপনাকে ভীষণ ভালোবাসি। তখন উনি খুশি হয়ে বলেছিলেন, ‘ঠিক আছে, চলে এসো, আমি রেকর্ড করব।’

 

প্রতিটা সুন্দর সৃষ্টির পেছনেই একটি করে গল্প থাকে। রশিদ খানের সেই সৃষ্টি আজ প্রতিটা মানুষের মনে মোচড় দিয়ে উঠছে। তিনি আর নেই। তবে তাঁর কণ্ঠ, সুর, সংগীত রয়ে গেছে অগণিত ভক্তের ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, চোখের জলে। তিনি চিরকাল থেকে যাবেন তাঁর অমূল্য সৃষ্টিতে।