NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, রবিবার, মে ১১, ২০২৫ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

ইসরায়েলি হামলা বন্ধ না হলে প্রতিরোধ কেউ থামাতে পারবে না : খামেনি


খবর   প্রকাশিত:  ০৯ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৬:১৮ পিএম

ইসরায়েলি হামলা বন্ধ না হলে প্রতিরোধ কেউ থামাতে পারবে না : খামেনি

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি মঙ্গলবার বলেছেন, ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল যদি গাজায় বোমাবর্ষণ অব্যাহত রাখে তবে মুসলিম ও প্রতিরোধ শক্তিকে কেউ থামাতে পারবে না।

খামেনি বলেন, ‘যদি ইহুদিবাদী (ইসরায়েল) শাসকদের অপরাধ অব্যাহত থাকে, তাহলে মুসলিম ও প্রতিরোধ শক্তি অধৈর্য হয়ে পড়বে এবং কেউ তাদের থামাতে পারবে না।’ 

ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধের পর থেকে ইরান তার আঞ্চলিক মিত্রদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখেছে, যার মধ্যে রয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ এবং তেহরানপন্থী ইরাকি মিলিশিয়া। ইরান মধ্যপ্রাচ্যের চারপাশে তার সমন্বিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে প্রতিরোধ অক্ষের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে।

 

 

ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের নজিরবিহীন হামলায় এখন পর্যন্ত এক হাজার ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক। হামাসের হামলার পর ইসরায়েল যুদ্ধ ঘোষণা করে। ইসরায়েল হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় প্রতিশোধমূলক হামলা চালাচ্ছে। এতে প্রায় দুই হাজার ৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক।

 

 

খামেননি বলেন, ‘জায়নবাদী সরকার যা-ই করুক না কেন, তারা যে কলঙ্কজনক ব্যর্থতা ভোগ করেছে তা পূরণ করতে পারবে না।’

এদিকে পূর্ণ মাত্রায় স্থল আক্রমণের প্রস্তুতি হিসেবে গাজা সীমান্তে হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করেছে ইসরায়েল। এর আগে ইসরায়েল প্রায় ১১ লাখ গাজাবাসীকে দক্ষিণে সরে যেতে বলেছে।

তেহরান বারবার সতর্ক করেছে, গাজার স্থল অভিযান অন্যান্য ফ্রন্টে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করবে।

 
এতে অন্য দেশগুলোও বৃহত্তর সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হবে।

 

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এর আগে বলেছিলেন, এ যুদ্ধের একটি রাজনৈতিক সমাধানে পৌঁছনোর সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে।

তেহরান হামাসকে আর্থিক ও সামরিকভাবে সমর্থন করে। ইসরায়েলে হামাস হামলা চালানোর পর দেশটি তা উদযাপন করেছে। তবে তারা জোর দিয়ে বলেছে, এ হামলায় তারা জড়িত ছিল না।

 

 

১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের পর থেকে ইরান ফিলিস্তিনকে সমর্থন করছে, যা তার বৈদেশিক নীতির অন্যতম স্তম্ভ।